দ্বিতীয় উদ্দেশ্য অনুসারে দুই শতাধিক অবৈতনিক নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া বিভিন্ন কেন্দ্রে নিরক্ষরতা; দূরীকরণের কাজ আরম্ভ হয়; রাত্রির ও দিনের উভয়বিধ বিদ্যালয়েরই বন্দোবস্ত হয়; শিশু ও বয়োবৃদ্ধ সকলেরই জন্য ব্যবস্থা করা হয়। তৃতীয় উদ্দেশ্য অনুযায়ী পাবলিক ওয়ার্কস সম্বন্ধে দরিদ্র পল্লীবাসীদের সজাগ করিয়া কাজে নিয়োগের ব্যবস্থা হইয়াছিল। এই কার্যে ব্যয় অত্যন্ত অধিক। পুকুর প্রতিষ্ঠা, কূপ খনন, রাস্তা মেরামত ও প্রস্তুত, জঙ্গল সাফ প্রত্যেকটি ব্যয়সাধ্য কাজ। কিন্তু অতুলবাবুর সুচিন্তিত স্কীম অনুসারে প্রজাদের নিকট হইতে কায়িক পরিশ্রম স্বরূপে চাঁদা লওয়া হইতে লাগিল, অর্থাৎ এই সকল কাজে তাহারা ‘জন’ খাটিতে লাগিল। এইরূপে মাত্র সাত আট মাসের মধ্যেই কালিগ্রাম পরগণায় বহু সহস্র টাকার কাজ করা সম্ভব হইয়াছিল।
চতুর্থ উদ্দেশ্য, ঋণদায় হইতে বিপন্ন প্রজাদের রক্ষা; ইহাও কালিগ্রামে সম্ভব হইয়াছিল। ইহার স্কীমটি সম্পূর্ণ রবীন্দ্রনাথের। পঞ্চম উদ্দেশ্য—সালিশী দ্বারা কলহের নিষ্পত্তি। প্রজাদের মধ্যে পরস্পর বিরোধ উপস্থিত হইলে ব্যাপারটা অতুলবাবুর নিকট উপস্থাপিত করা হইত। তিনি বিচার বুদ্ধিমত সুরাহা করিয়া দিতেন। এই কার্যে প্রজারা খুবই সন্তুষ্ট হইয়াছিল।
“স্বদেশী সমাজে” রবীন্দ্রনাথ যে আদর্শ ব্যক্ত করিয়াছিলেন,