বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

“শনিবারের চিঠি” এই স্মরণীয় ঘটনার যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহা হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি:—

 “কালিগ্রাম পরগণা ঠাকুরবাবুদের জমিদারীর অন্তর্ভুক্ত—রাজসাহী ও বগুড়া জিলার আত্রাই, রঘুরামপুর, রাণীনগর, সান্তাহার, তিলকপুর, আদমদিঘী, নসরৎপুর ও তালোয়া—এই কয়টি রেল স্টেশনকে ঘিরিয়া এই পরগণা দৈর্ঘে প্রস্থে অনেক শত মাইল ব্যাপিয়া। অতুল সেন হইলেন প্রধান কর্মী, শ্রীযুত উপেন ভদ্র, বিশ্বেশ্বর বসু প্রভৃতি ছিলেন তাঁহার সহকারী। সঙ্গে অতুলবাবুর কর্মিসংঘ। কবিনির্দ্দিষ্ট কাজের উদ্দেশ্য ছিল প্রধানত পাঁচটি—(১) যথাযোগ্য চিকিৎসা বিধান, (২) প্রাথমিক শিক্ষা বিধান, (৩) পাবলিক ওয়ার্কস্ অর্থাৎ কূপ খনন, রাস্তা প্রস্তুত ও মেরামত, জঙ্গল সংস্কার প্রভৃতি, (৪) ঋণদায় হইতে দরিদ্র চাষীকে রক্ষা ও (৫) সালিশী বিচারে কলহের নিষ্পত্তি।

 “প্রথম কাজ আরম্ভ হয় তিনটি কেন্দ্রে—পতিসর, কামতা ও রাতোয়ালে। তিনটি হাসপাতাল ও ঔষধালয় স্থাপন করিয়া বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ চলিতে থাকে, হাসপাতালে যথারীতি ডাক্তার ও দুই একটি ‘বেডের’ও ব্যবস্থা করা হয়। এই সকল সৎকার্যের ব্যয়ভার অংশত জমিদার রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ও অংশত প্রজারা বহন করিতেন। খাজনার টাকা পিছু এক আনা তিনি দিতেন, প্রজারা এক আনা দিত।”