৭
উপসংহার
১৯০৮ সালের পর হইতে রবীন্দ্রনাথ কোন প্রকাশ্য রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেন নাই। একথা পূর্বেই বলিয়াছি। কিন্তু সেভাবে যোগ না দিলেও তিনি একেবারে উহার সংস্পর্শ এড়াইতে পারেন নাই। দেশের ও জাতির স্বার্থরক্ষার জন্য যখনই তাঁহার সহযোগিতা অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে, তখনই তিনি সে আহ্বানে সাড়া দিতে কার্পণ্য করেন নাই। কয়েকটি প্রধান প্রধান দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা যাইতে পারে। ১৯১৬ সালে কলিকাতায় কংগ্রেসের যে অধিবেশন আহুত হয়, তাহাতে চরমপন্থী ও নরমপন্থী দলের মধ্যে আবার বিবাদ বাধিয়া উঠে। চরমপন্থী বা নবীন জাতীয়তাবাদী দল প্রস্তাব করেন যে, মিসেস অ্যানি বেশান্তকে ঐ অধিবেশনের সভানেত্রী করা হউক। মিসেস বেশান্ত তাহারই কিছু পূর্বে “হোমরুল আন্দোলন”-এর জন্য বিনা বিচারে অন্তরীণ হইয়াছিলেন। নরমপন্থী মডারেট দলের নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি মিসেস বেশান্তের সভাপতিত্বের প্রস্তাবের প্রতিবাদ করেন। এই সময়ে চরমপন্থী বা নবীন জাতীয়তাবাদী দলের মুখপাত্র স্বরূপ ছিলেন বিপিনচন্দ্র পাল, চিত্তরঞ্জন দাস, মতিলাল ঘোষ, ব্যোমকেশ চক্রবর্তী, মৌলবী ফজলুল হক,