হীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রভৃতি। রবীন্দ্রনাথও ইহাদের সঙ্গে মিসেস বেশান্তকেই সভানেত্রীরূপে বরণ করিবার প্রস্তাব করেন। অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতির পদ লইয়া ঐরূপ মতদ্বৈধ হইয়াছিল। সুরেন্দ্রনাথ প্রমুখ মডারেটগণ বহরমপুরের প্রখ্যাতনামা বৈকুণ্ঠনাথ সেনকে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতিপদে নির্বাচিত করিতে চাহেন। কিন্তু নবীন জাতীয়তাবাদী দল ইহাতে সম্মত হইলেন না। তাঁহারা রবীন্দ্রনাথকে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতির পদ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। রবীন্দ্রনাথও তাহাতে সম্মত হইলেন। এইরূপে দুই দলে মতভেদ হইয়া উঠিল, তখন সৌভাগ্যক্রমে একটা আপোষের ব্যবস্থা হইল। মডারেট দল মিসেস অ্যানী বেশান্তকে সভানেত্রীরূপে স্বীকার করিয়া লইলেন। রবীন্দ্রনাথও শেষ মুহূর্তে বৈকুণ্ঠনাথ সেনের অনুকূলে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতির পদ ত্যাগ করিলেন। কলিকাতার কংগ্রেসের অধিবেশন সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হইল। রবীন্দ্রনাথ এই অধিবেশনে যোগ দেন এবং “জাতীয় প্রার্থনা” পাঠ করেন।
তৎকালীন নবজাতীয়তাবাদী দলের অন্যতম নেতা শ্রীযুত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত রবীন্দ্রনাথের শেষ জন্মোৎসব উপলক্ষে ‘পরিচয়’ পত্রে এ সম্বন্ধে যে চিত্তাকর্ষক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন তাহা হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি,—
“কলিকাতায় কংগ্রেস হইবার কথা, অভ্যর্থনা সমিতি গঠিত হইতেছে এবং ঐ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত