বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

সভাপতিত্ব ত্যাগ করিয়া বৈকুণ্ঠনাথ সেন মহাশয়কে তাঁহার স্থলাভিষিক্ত করিলেন।” (রবীন্দ্র প্রসঙ্গ—পরিচয়, জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৮)।

 ১৯১৯ সালে রাউলেট আইনের প্রতিবাদে দেশময় তুমুল বিক্ষোভের সঞ্চার হয়। মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ আন্দোলন আরম্ভ করেন। ১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিল ১লা বৈশাখ নববৎসরের দিন—অমৃতসরের জালিওয়ানাবাগে জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে নিরস্ত্র জনতার উপর গুলী বর্ষিত হয়। বহুলোক হতাহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে পাঞ্জাবে সামরিক আইন জারী হয়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিবরণ প্রথমত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইতে পারে নাই। জননায়কগণও যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথই প্রথমে এই নৃশংস ব্যাপারের প্রকাশ্যে তীব্র প্রতিবাদ করেন। তিনি বড়লাটকে একখানি পত্র লিখিয়া জালিওয়ানাবাগের হত্যাকাণ্ড ও পাঞ্জাবের সামরিক আইন জারীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন এবং গভর্মেণ্ট কর্তৃক প্রদত্ত ‘স্যার’ উপাধি ত্যাগ করেন। এই পত্রে কবির লেখনী হইতে যে তেজোময়ী বাণী নিঃসৃত হইয়াছিল, তাহার তুলনা নাই। সংবাদপত্রে রবীন্দ্রনাথের পত্র যখন প্রকাশিত হইল, তখন দেশবাসী পাঞ্জাবে দমননীতির তাণ্ডব এবং জালিওয়ানাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানিতে পারিল। ফলে দেশের সর্বত্র ঘোর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হইল। বিভিন্ন প্রদেশ হইতে জননায়কগণ পাঞ্জাবে গিয়া