হইতেছেন। নরম দল ও গরম দলের মধ্যে ইতিপূর্বেই মনোবাদ বাধিয়াছে—আমি গরম দলভুক্ত। আমরা চাই মিসেস বেশান্তকে সভানেত্রীর আসন দিতে—নরম দলের তাহাতে বিশেষ আপত্তি। Indian Association হলে সভা বসিয়াছে। বৈকুণ্ঠনাথ সেন মহাশয়কে সভাপতি (অভ্যর্থনা সমিতির) করিবার প্রস্তাব পেশ হইল। আমি উঠিয়া আপত্তি করিলাম। বলা উচিত তখন আমার ত ‘দ্বন্দ্ব সহিষ্ণুতা’ ছিলই না (এখনও যে বিশেষ আছে একথা বলি না)—দ্বন্দ্বপ্রিয়তা যথেষ্ট ছিল। তাহার ফলে এবং গরমপন্থীর বন্ধুদের সহযোগিতায় মিটিং ভাঙ্গিয়া গেল। অবশ্য নরম দলেরা বিলক্ষণ চটিলেন। কিন্তু আমরা তাঁহাদের উপেক্ষা করিয়া অভ্যর্থনা সমিতির দ্বিতীয় বৈঠক করিলাম এবং রবীন্দ্রনাথকে ঐ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করিলাম। তাঁহার মত নিরীহ লোকের এ বিবাদে না যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কর্তব্যের অনুরোধে এবং ভারত জননীর একান্ত সেবিকা মিসেস বেশান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিদর্শনরূপে রবীন্দ্রনাথ ‘মদরত’দিগের অশেষ অনুনয় উপেক্ষা করিয়া সভাপতিত্ব করিতে স্বীকৃত হইলেন। ইহার ফলে আমাদের দল বেশ প্রবল হইয়া উঠিল এবং জনসাধারণ দলে দলে ঐ অভ্যর্থনা সমিতির সদস্যভুক্ত হইল। অবস্থা বুঝিয়া ‘মদরতে’রা মিসেস বেশান্তকে কংগ্রেসের সভাপতিত্বে বরণ করিলেন। কাজেই সাময়িক বিবাদ মিটিয়া গেল। তখন রবীন্দ্রনাথ অভ্যর্থনা সমিতির
পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/১১৩
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার
৯৯