আচার্য সতীশচন্দ্রের শিষ্য ছিলেন। “ডন সোসাইটি'র সঙ্গে আর্যা নিবেদিতা, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতির যোগ ছিল এবং তাঁহারা সোসাইটির সভায় আসিয়া বক্তৃতা করিতেন। রবীন্দ্রনাথ সতীশচন্দ্রের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং “ডন সোসাইটি”র হিতৈষী ও পরামর্শদাতা ছিলেন। অনেক সময় সোসাইটির গৃহে আসিয়া রবীন্দ্রনাথ সতীশচন্দ্রের সঙ্গে স্বদেশসেবার নানা পরিকল্পনা লইয়া আলোচনা করিতেন। সোসাইটির তরুণ সদস্যদের রবীন্দ্রনাথ দেশসেবার সম্বন্ধে উপদেশ দিতেন, বক্তৃতা করিতেন। আমি সোসাইটির একজন নগণ্য সদস্য ছিলাম এবং রবীন্দ্রনাথের একটি বক্তৃতার কথা আমার বেশ মনে আছে। বক্তৃতার শেষে রবীন্দ্রনাথকে আমরা ধরিয়া পড়িলাম যে, তাঁহাকে একটি গান গাহিতে হইবে। রবীন্দ্রনাথ প্রথমে কিছুতেই রাজী হন না, পরে যুবকদের সনির্বন্ধ অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া পকেট হইতে একখানি ছোট খাতা বাহির করিয়া নূতন রচিত একটি গান করিলেন। যতদূর মনে পড়ে উহা রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত গান—
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে,
তবে এক্লা চল রে।
এক্লা চল এক্লা চল
এক্লা চল রে।