এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ
যদি কেউ কথা না কয়—
যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে
সবাই করে ভয়—
তবে পরাণ খুলে
ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা,
এক্লা বল রে।
* * *
যদি আলো না ধ’রে—
যদি ঝড়বাদলে আঁধার রাতে
দুয়ার দেয় ঘরে।
তবে বজ্রানলে,
আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে
এক্লা জ্বল রে।
* * *
স্বদেশী আন্দোলনে আচার্য সতীশচন্দ্রের দান অপরিমেয়। হীরেন্দ্রনাথ দত্ত একবার বলিয়াছিলেন, “সতীশবাবু শ্রীকৃষ্ণের বংশীধ্বনি শুনে সকলের আগে ঘর ছেড়ে পথে বেরিয়েছেন।” এই নীরব সাধক ও কর্মযোগীর কথা মনে হইলে শ্রদ্ধায় শির নত হইয়া পড়ে। তিনি ছিলেন আজীবন ব্রহ্মচারী, দেশ ও সমাজের সেবার জন্য নিজেকে সম্পুর্ণরূপে উৎসর্গ করিয়াছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল রত্ন ও হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হইয়াও নিজের জন্য কোনদিন অর্থোপার্জনের চেষ্টা করেন