এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বদেশী যুগে ঊষা
৪৫
পরবর্তী কালে যিনি ভারতে নব জাতীয়তা আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক এই উৎসবের পৌরোহিত্য করিয়া জাতীয় জীবনে নূতন অধ্যায়ের সূচনা করিয়াছিলেন।
এই উৎসব উপলক্ষ্যে কলিকাতা টাউন হলে যে বিরাট সভা হয়, রবীন্দ্রনাথ তাহাতে তাঁহার বিখ্যাত কবিতা “শিবাজী উৎসব” পাঠ করেন। শিবাজীর আদর্শই যে স্বাধীনতাকামী ভারতকে গ্রহণ করিতে হইবে, এই কবিতায় স্পষ্টভাবেই কবি তাহা বলেন:—
কোন্ দূর শতাব্দের কোন্-এক অখ্যাত দিবসে
নাহি জানি আজি।
মারাঠার কোন্ শৈলে অরণ্যের অন্ধকারে ব’সে
হে রাজা শিবাজি,
তব ভাল উদ্ভাসিয়া এ ভাবনা তড়িৎপ্রভাবৎ
এসেছিল নামি,—
“এক-ধর্মরাজ্য-পাশে খণ্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত
বেঁধে দিব আমি।”
হে রাজতপস্বি বীর, তোমার সে উদার ভাবনা
বিধির ভাণ্ডারে
সঞ্চিত হইয়া গেছে, কাল কভু তার এক কণা
পারে হরিবারে?