সেদিন শুনিনি কথা—আজ মোরা তোমার আদেশ
শির পাতি লব।
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে ভারতে মিলিবে সর্বদেশ
ধ্যানমন্ত্রে তব।
ধ্বজা করি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরীবসন,—
দরিদ্রের বল
“এক-ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে” এ মহাবচন
করিব সম্বল।
এই স্বদেশী যুগের ঊষাতেই রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ‘কথা ও কাহিনী’র প্রসিদ্ধ কবিতাগুলি রচনা করেন। প্রাচীন ভারত এবং আধুনিক কালের মারাঠী, রাজপুত ও শিখ ইতিহাসের গৌরবময় স্মৃতি মন্থন করিয়া এইসব কবিতা রচিত হইয়াছিল। বাঙলার তরুণগণের চিত্তে স্বদেশের বীর্য ও গৌরব-কাহিনী জাগ্রত করাই ছিল ঐ সব কবিতার উদ্দেশ্য। বাঙলার তরুণ ও যুবকদের কণ্ঠে কণ্ঠে এইসব কবিতা এখনও ধ্বনিত হইতেছে।
স্বদেশী আন্দোলনের অব্যবহিত কালে আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ‘ভাণ্ডার’ পত্রিকা প্রকাশ। শ্রীযুত কেদারনাথ দাশগুপ্তের অর্থে ও উদ্যোগে এই ‘ভাণ্ডার’ পত্র প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ উহার সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন। ‘ভাণ্ডারে’ জাতীয় জীবনের নানা সমস্যা লইয়া আলোচনা হইত, বিশেষভাবে আলোচনা হইত স্বদেশী শিল্পের পুনরুদ্ধার ও প্রসারের সমস্যা। দেশের নেতারা যে সব চিন্তা করিতেন,