বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বদেশী আন্দোলন ( শেষার্ধ )
৭৯

বালগঙ্গাধর তিলকের নাম প্রস্তাব করিলেন। ফলে সুরাট কংগ্রেসে “দক্ষযজ্ঞ” হইল, কংগ্রেসের অধিবেশন পণ্ড হইয়া গেল। প্রবীণ নরমপন্থীরা এলাহাবাদে ফিরিয়া গিয়া বৈঠক করিলেন এবং নবীন দলকে কংগ্রেস হইতে বিতাড়িত করিবার ব্যবস্থা করিলেন। কিন্তু তাহার ফল ভাল হইল না, কয়েক বৎসরের মধ্যে নবীন দলই বালগঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে কংগ্রেসে প্রাধান্য স্থাপন করিলেন এবং প্রবীণ দলই কংগ্রেস হইতে সরিয়া গিয়া “লিবারেল ফেডারেশন” গঠন করিতে বাধ্য হইলেন। রবীন্দ্রনাথ স্বভাবতই এইসব দ্বন্দ্ব-কোলাহল হইতে দূরে থাকিতেন। সুরাট কংগ্রেসের পর তিনি ক্রমে ক্রমে প্রকাশ্য রাজনীতিক্ষেত্র হইতে আরও দূরে সরিয়া গেলেন। কিন্তু নবীন দলের প্রতি তাঁহার আন্তরিক প্রীতি হ্রাস হয় নাই। নবীন দলের নেতা শ্রীঅরবিন্দ একাধারে তাঁহার বন্ধু ও সহকর্মী ছিলেন। শ্রীঅরবিন্দকে তিনি কিরূপ শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন, “অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার” কবিতায় তাহার অক্ষয় নিদর্শন তিনি রাখিয়া গিয়াছেন। ১৯০৭ সালে রাজদ্রোহের অভিযোগে শ্রীঅরবিন্দ গ্রেপ্তার হইলে রবীন্দ্রনাথ এই কবিতাটি লেখেন। রবীন্দ্রনাথের অন্তরের গভীর স্বদেশপ্রেমের পরিচয়স্বরূপ এই কবিতার কিয়দংশ উদ্ধৃত না করিয়া পারিতেছি না,—

অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার।
হে বন্ধু, হে দেশ-বন্ধু, স্বদেশ আত্মার
বাণী-মূর্তি তুমি। তোমা লাগি’ নহে মান,