বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
১৯

আর বসিয়া থাকিলে চলিবে না, আমাদিগকে কর্ড, ক্রমে গ্রাণ্ড্-কর্ড্, ও পরে গ্রেট্-গ্রাণ্ড্-কর্ড্[১] নির্ম্মাণ করিতে হইবে। জানি, এ পথ তৈরি করিতে অনেক ডাইনামাইটের প্রয়োজন, অনেক উত্তুঙ্গ পাহাড় উড়াইয়া দিতে হইবে, অনেক টানেল নির্ম্মাণ করিতে হইবে, কাজ বড়ই আয়াস-সাধ্য। কিন্তু তা বলিয়া হাল ছাড়িয়া দিলে চলিবে কেন? তপস্যায় কি না হয়? অর্জ্জুনের পাশুপত অস্ত্রলাভ যে দেশের সাহিত্যের চিত্র, প্রহ্লাদের সমক্ষে স্ফটিক-স্তম্ভে নরসিংহমূর্ত্তির আবির্ভাব যে দেশের চিত্র, মৎস্যচক্র-ভেদ যে দেশের চিত্র, সে দেশে অসাধ্য কি? সে দেশে অবসাদ কিসের? প্রারম্ভের পূর্ব্বেই যত হিসাব-নিকাশ, যত ইতস্ততঃ; একবার কাজ আরম্ভ করিয়া দিলে, যদি মনের বল থাকে, তবে ষ্টিম রোলারের মত, সমস্ত উচ্চনীচ সমান করিয়া চলিয়া যাওয়া বেশী কথা নহে। তোমার পিতৃপিতামহের নিত্য জপের মন্ত্র একবার স্মরণ কর—

“একো বলবান্ শতং বিজ্ঞানবতামাকম্পয়তে,
বলেন বৈ পৃথিবী জিতা বলং বাবতিষ্ঠস্ব।
[২]

এই উদ্দেশ্যেই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত দিন পরে ভারতীয় ভাষায় এম. এ. পরীক্ষার সৃষ্টি হইয়াছে। এই এম. এ. পরীক্ষার্থিগণকে প্রধানত এক মূল ভাষায় ও তাহার সহিত অন্ততঃ একটি ভিন্নপ্রদেশের