পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে সঙ্গমাল্পী r ডেকের উপর পারচারি করে-তা’ ছাড়া দুচার রকম খেলাও জাহাজে আছে, তার মধ্যে একটীর উল্লেখ করছি। এই খেলাটা আমরা প্ৰায় খেলতাম-খেলাটার নাম, বুলবোর্ড ! একটা কাঠের বোর্ডের উপর হুটাে গরুর ছবি থেকে ১, ২, ইত্যাদি করে দশটা সংখ্যা লেখা আছে । সেই বোর্ড থেকে চার পাঁচ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছয়টা বালি পোরা চেপােটা বল দিয়ে বোর্ডের নম্বরের উপর নিশান করে মারতে হয়। এক থেকে আরম্ভ করে দশ পৰ্যন্ত ও তারপর গরুর মাথার ছবিতে যে আগে মারতে পারে তার জিত হয় । RR a fè আজ দূরের পাহাড়গুলা স্পষ্ট দেখা গেল। দূরবীনে পাহাড়ের উপরকার গাছপালা পৰ্যন্ত দেখা যেতে লাগলো। ষ্টয়ার্ডেস্ ডেকে এসে দাড়িয়েছিলেন। আমি তঁাকে বল্লাম, জাহাজটার চারিদিকে ঘুরে দেখতে চাই ! তিনি আমাকে ডাক্তারের কেবিন, তঁর নিজের কেবিন, বোতলখানা ও অন্যান্য দু' চারটা কেবিন দেখালেন। ষ্টয়ার্ডেস লোকটি বেশ । তিনি আমার সাড়িগুলোর বড় প্রশংসা করেন। জাহাজে অন্য অনেক বিলাতি 器 আমার সাড়ি দেখে মুচ্ছা যান! তঁদেরও স্নাড়ি পন্থতে বড় ইচ্ছা ; কিন্তু পুরাধানের পোষাক বলে পরেন না। মেয়েযাত্রীদের দুটাে স্নানের ঘর আছে। একটা বেশ বড় ও তাতে ‘পোর্টহোল, (গোল ছিদ্রাকার জানালা) আছে বলে বেশ ঠাণ্ডা থাকে। আমার ভাগে ভালটাই পড়ত। কারণ আমি ইয়ার্ডেসের সুনজরে পড়েছিলাম। বাঙ্গালী-অভ্যাস মত আমি হুবার করে স্নান করি। এতে আমি মনে করেছিলাম, ছুয়ার্ডেস গােল করবেন ; কিন্তু তা না হয়ে বরঞ্চ লে জ্বল্পে । আমি তার কাছে প্রশংসনীয়া হয়ে পড়লাম। তিনি বলতেন, ‘আপ্তি