পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী ; f Rés° ʻ লোক নৌকো নামাতে দেরি করছে; বাবা তোমায় উপরে ডাকছেন।” তখন আমি তাড়াতাড়ি উপরে গিয়ে দেখি, জাহাজের প্রথম শ্রেণীর যাত্রীর দল ডেকে বেরিয়ে ভিড় করে যে-লোকটা জলে পড়েছে তাকে । দেখছে। তখনও প্রাণ রক্ষার জন্য যে ছোট নৌকা আছে সেটা নামান হয়নি; তবে জীবন রক্ষার জন্য যে গোল বেণ্টগুলো জাহাজে বেঁধে রাখা হয়, তার একটা জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেটা ভাসছে। তাতে একটা আলো বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যাতে সেটা দূর থেকে সহজে নজরে পড়ে। দেখলাম জাহাজের পিছনে যে চাকা আছে তার কাছেই একটা চীনে লোক জলে ভাসছে। তখনও বেশ জোরে বৃষ্টি পোড়ছে! আমি লোকটাকে দেখেই মনে করেছিলাম সে বুঝি মরে গেছে ; কিন্তু সবাই বল্লে মরেনি। লোকটা জলের মধ্যে ভাসছিল, সাঁতার জানত তাই ডুবে যায়নি। নৌকো যখন নাবালে তখন তাতে ৪ জন খালাসি ও চিফঅফিসার ছিল। কিন্তু খালাসিগুলো তাদের কাজে ভালরূপে অভ্যস্ত ছিল না । তারা প্ৰথমে নৌকো টানতেই ভয়ানক দেরি করছিল। চিফ অফিসারের কাছে মার খেয়ে তবে নৌকো চালালে। নৌকোটা যখন চীনে লোকটার কাছে গিয়ে তাকে তুলে নিলে তখন সে চোখ খুলে । জাহাজের উপরের দিকে যাত্রীদের দিকে চেয়ে চুপ করে জলে ভাসছিল। তাকে যখন জাহাজে তোলা হোল, তখন সে একেবারে উলঙ্গ। তাই জামরা যত মহিলা যাত্রী ছিলাম প্রায় সকলেই নীচে বা ঘরে চলে গেলাম। চীনে লোকটা ভাগ্যক্রমে হাঙ্গরের গ্রাস থেকে বেঁচে গেছল। চিফৰ অফিসার বল্লেন, সমুদ্রের এই জায়গায় অনেক হাঙ্গর আছে। লোকটা যদিও এক্ষেত্রে বাঁচলে, কিন্তু পরিশেষে ঠাণ্ডা জলে এতক্ষণ থাকার ফলে লো পরদিন মারা পড়লো। সেই মৃতদেহ জাহাজে নিয়ে হংকং পৰ্যন্ত আমরা এসেছিলাম, অথচ ডাক্তার আমাদের কিছুই জানতে দেশীি