পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ জিজ্ঞাসা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছেন। তিনি স্বনিপুণ কারিকর, কেন না, এত কৌশল ও এত বুদ্ধিমত্তা সহকারে তিনি যখন যেটি দরকার, যখন যাহা নহিলে মানুষের অসুবিধা হইবে, তাহার ব্যবস্থা করিয়াছেন । তিনি প্রশংসনীয়, কৃতজ্ঞতাভাজন ও প্রীতিভাজন, কেন না, তাহার রচিত জগতের মধ্যে আমরা এত স্ফৰ্ত্তিসহকারে বেড়াইতেছি । অতএব গাও হে তাহার নাম ইত্যাদি । স্বৰ্য্য কেমন অদ্ভূত পদাৰ্থ! স্বর্য্যের উত্তাপ নহিলে আমরা কোথায় থাকিতাম ? বিজ্ঞানশাস্ত্ৰ শতমুখে স্বর্য্যের স্বষ্টিকৰ্ত্তার গুণ গান করিতেছে। বায়ু নহিলে আমরা কোথায় থাকতাম ? বিধাতা আমাদিগকে বায়ু দিয়াছেন । জল নহিলে আমরা কোথায় থাকিতাম ? তাই বিধাতা আমাদিগকে জল দিয়াছেন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকিলে পৃথিবী এমন থাকিত না, এবং পৃথিবী না থাকিলে আমাদের দাড়াইবার স্থল থাকিত না ; মাধ্যাকর্ষণের ব্যবস্থা কেমন দুরদর্শিতার পরিচায়ক ! এমন কি, বিধাতা “আমাদের আহারের জন্ত ঘাসের ফলকে শস্তে ও আমাদের শীত নিবারণের জন্ত কাপাসের ফলকে তুলায় পরিণত করিয়া কি অপুৰ্ব্ব মানবহিতৈষিতার পরিচয় দিয়াছেন । এই ভূমণ্ডল দেখ কি সুখের স্থান, সকল প্রকারে সুখ করিতেছে দান ;—দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক ও শাস্ত্রকার ও নীতিকার সকলেরই মুখে এই একই সুর চিরকাল শুনা যাইতেছে । সমগ্র জগৎটাই যখন মনুষ্যজাতির উপকারের জন্ত ও সুবিধার জন্ত নিৰ্ম্মিত ও স্ব%, তখন জগতের মধ্যে যদি এমন কোন পদার্থ থাকে, যাহা মানুষের কোন কাজে লাগে না, তাহ হইলে সেই পদার্থের অস্তিত্ব নিরর্থক ও উদ্দেশু হীন হইয়া দাড়ায় । ইহাতে স্বষ্টিকৰ্ত্তার কার্য্যপ্রণালীতে দোষারোপ ঘটে, সেই জন্য এক সম্প্রদায়ের পাওত জাগতিক সমুদয় পদার্থের মকুষ্যের পক্ষে উপকারিত। সপ্রমাণ করিবার জন্য ব্যস্ত ।