পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জিজ্ঞাসা নাই । সুখ অর্থে নিজের পক্ষে ষে যাহা বুঝে, সে তাহাই লক্ষ্যস্বরূপ গ্রহণ করে। তাহার উদ্দেশু, তাহার লক্ষ্যীভূত পদার্থ, অন্তর আদর্শোপযোগী হউক আর নাই হউক, সেই নিজ নিজ স্বতন্ত্র চেষ্টার সমবেত ফলে স্বষ্টি চলিতেছে ; উন্নতিই বল আর অধোগতিই বল, জীবজগতে বা নরসমাজে অভিব্যক্তি তাহার ফলেই চিরকাল ঘটিয়া আসিতেছে । অভিব্যক্তির আর পাঁচটা কারণ থাকিলেও ডারহনের প্রদর্শিত অভিব্যক্তিপ্রণালী স্থল কথায় এই ৷ যদিও আবহমানকাল ধারয় মানুষের এই চেষ্টা এবং স্বখান্বেষণেরই নাম জীবনপ্রয়াস, কিন্তু জীবনে সুখের ভাগ বেশী কি দুঃখের ভাগ বেশী, তাহা এখনও স্থির হয় নাই । বহুকাল হইতে এই কথাটার মীমাংসা লইয়া দলাদলি চলতেছে । এক পক্ষের মতে জীবনে সুখের মাত্রা অবশু অধিক ; অন্তপক্ষ বলেন, দুঃখের পরিমাণ সুখের পরিমাণকে চিরকালই ছাড়াইয়া রহিয়াছে ৷ হইতে পারে, প্রথম পক্ষ নিজ জীবনে দুঃখ অপেক্ষ সুখের অস্বাদন অধিক মাত্রায় পাইয়াছেন ; তাহারা সুস্থচোখে সকলই হুন্দর দেখেন, এবং কুৎসিত হইতে স্বভাবতঃ দুরে থাকিয়া কুৎসিতের অস্তিত্ব জগতে নাই বলিতে চাহেন । অপর পক্ষ নিজ জীবনে তাদৃশ সৌভাগ্যশালী নহেন ; তাহদের রুগ্নচক্ষু স্বরূপকেও বিকৃত দেখে, এবং নৈরান্ডের দুৰ্ব্বলতায় শিথিল পদদ্বয় দুঃখের পদ্ধ হইতে উঠিয়া সহজলভ্য সুখের শুষ্ক বত্মে উত্তীর্ণ হইতে পারে না । এরূপ লৈ তাহাদের মতামত নিজ জীবনের অনুভূতির প্রতিফলিত ছা । মাত্র ; জগতে সুখদুঃখের তারতম্যনির্ণয়ে ইহাদের মতামতের কোন মূল্য নাই । বলা বাহুল্য, যুক্তির ভার কোন পক্ষে গুরুতর, তাহ স্থির করাই প্রধান সমস্ত ; নিকৃতির কাটা কোন দিকে ছেলিয়াছে, তাহ। ঠিক দেখিবার উপায় থাকিলে এতদিন মীমাংসা বাকি থাকিত না ।