পাতা:জীবনচরিত.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বলণ্টিন জামিরে ডুবাল।
৬৯

স্থিত হইয়া ডুবালের অন্বেষণ করিলেন এবং ডুবাল উপস্থিত হইলে জিজ্ঞাসিলেন তুমি কি এক মুদ্রা পাইয়াছ? ডুবাল কহিলেন হাঁ মহাশয়! তিনি কহিলেন আমি তোমার নিকট বড় বাধিত থাকিলাম সে আমার মুদ্রা। ডুবাল কহিলেন ক্ষণেক অপেক্ষা করিতে হইবেক অগ্রে আপনি অনুগ্রহ করিয়া কুলাদর্শানুযায়ী ভাষায় নিজ আভিজাতিক চিহ্ন বর্ণন করুন তবে আমি আপনাকে মুদ্রা দিব। তখন সেই আগন্তুক কহিলেন অহে বালক! তুমি আমাকে পরিহাস করিতেছ, কুলাদর্শের বিষয় তুমি কি বুঝিবে। ভুবাল কহিলেন সে যাহা হউক আপনি নিজ আভিজাতিক চিহ্নের বর্ণন না করিলে মুদ্রা পাইবেন না।

 ডুবালের নির্ব্বন্ধাতিশয় দর্শনে চমৎকৃত হইয়া ফরষ্টর তাঁহার জ্ঞান পরীক্ষার্থে তাঁহাকে নানা বিষয়ে ভূরি ভূরি জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। পরিশেষে তৎকৃত উত্তর শ্রবণে সন্তুষ্ট হইয়া নিজ আভিজাতিক চিহ্ন বর্ণন দ্বারা তাঁহার প্রার্থনা সিদ্ধ করিয়া মুদ্রা গ্রহণ পূর্ব্বক দুই সুবর্ণ পুরস্কার দিলেন; এবং প্রস্থান কালে ডুবালকে, মধ্যে মধ্যে লুনিবিলে গিয়া সাক্ষাৎ করিতে কহিয়া দিলেন। পরে ভুবাল যখন যখন তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতেন প্রতিবারেই তিনি তাঁহাকে এক এক রজত মুদ্রা দিতেন। এইরূপে ফরষ্টরের নিকট মুদ্রা ও পুস্তক দান পাইয়া সেণ্ট এনের রাখালের পুস্তকালয়ে চারশত খণ্ড