পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্নের নারীর নাম ভালো করে বুঝে নিতে গেলে নিয়মের নিগড়ের হাত এসে ফেঁদে j. মানুষকে যে-আবেগে যত দিন বেঁধে রেখে দেয়, যত দিন আকাশকে জীবনের নীল মরুভূমি মনে হয়, যত দিন শূন্যতার ষোলো কলা পূর্ণ হয়ে—তবে বন্দরে সৌধের উধেব চাদের পরিধি মনে হবে,— তত দিন পৃথিবীর কবি অণমি—অকবির অবলেশ আমি ভয় পেয়ে দেখি—সূর্য ওঠে ; ভয় পেয়ে দেখি — অস্তগামী । যে-সমাজ নেই তবু রয়ে গেছে, সেখানে কায়েমী মরুকে নদীর মতো মনে ভেবে অনুপম সঁাকে। অণজীবন গ’ডে তবু আমাদের প্রাণে প্রীতি নেই—প্রেম অণসে নাক’ । কোথাও নিয়তিহীন নিত্য নরনাবীদের খুঁজে ইতিহাস হয়তো ক্রান্তির শব্দ শোনে ; পিছে টানে ; অনন্ত গণনাকাল সৃষ্টি ক’রে চলে ; কেবলই ব্যক্তির মৃত্যু গণনাবিহীন তয়ে প’ডে থাকে জেনে নিয়ে -তবে তাহাদের দলে ভিড়ে কিছু নেই—তবু সেই মহাবণ হিনীর মতো হতে হবে ? সঙ্কল্পের সকল সময় শূন্য মনে হয় তবুও তো ভোর আসে--হঠাৎ উৎসের মতো, আন্তরিকভাবে ; জীবনধারণ ছেপে নয়,—তবু জীবনের মতন প্রভাবে ; মরুর বালির চেয়ে মিল মনে হয় বালিছুট সূর্যের বিস্ময় । মহীয়ান কিছু এই শতাব্দীতে অাছে,—অারে এসে যেতে পারে : মহান সাগর গ্রাম নগর নিরুপম নদী ;-— ఏ&&