যদিও কাহারে প্রাণে আজ রাতে স্বাভাবিক মানুষের মতো ঘুম নেই, তবু এই দ্বীপ, দেশ, ভয় অভিসন্ধানের অন্ধকারে ঘুরে সসাগর পৃথিবীর আজ এই মরণের কালিমণকে ক্ষমণ করা যাবে ; অনুভব করা যাবে স্মরণের পথ ধ’রে চলে : কাজ ক’রে ভুল হ’লে, রক্ত হলে মানুষের অপরাধ ম্যামথের নয় কতশত রূপান্তর ভেঙে জয় জয়ন্তীর সূর্য পেতে তলে । হেমন্ত রাতে শীতের ঘুমের থেকে এখন বিদায় নিয়ে বাহিরের অন্ধকার রাগে হেমন্তলক্ষ্মীর সব শেষ অনিকেত অা বছণয়ণ তারাদের সমাবেশ থেকে চোখ নামায়ে একটি পাখিব ঘুম কাছে পাখিনীর বুকে ডুবে আছে,— চেয়ে দেখি ; --তাদের উপরে এই অবিরল কালে পৃথিবীর আলো অণর ছায়। খেলে – মৃত্যু অণর প্রেম অর্ণব নীড । এ ছাড। অধিক কোন নিশ্চয়তা নির্জনতা জীবনের পথে আমাদের মানবীয় ইতিহাস চেতনায়ও নেই –( তবু আছে । ) এমনই অদ্রাণ রাতে মনে পডে-—কত সব ধূসব বাড়ির অ ! মলকী পল্লবের ফঁাক দিয়ে নক্ষত্রের ভিড় পৃথিবীর তীরে-তীরে ধূসরিম মহিলার নিকটে সন্নত দাড়ায়ে রয়েছে কত মানবের বাষ্পাকুল প্রতীকের মতো--- দেখা যেত; এক আধ মূহূর্ত শুধু—:স-অভিনিবেশ ভেঙে ফেলে সময়ের সমুদ্রের রক্ত ব্ৰাণ পাওয়া গেল,—ভৗতিশব্দ রীতিশব্দ মুক্তিশব্দ এসে আরো ঢের পটভূমিকার দিকে দিগন্তরে ক্রমে মানবকে ডেকে নিয়ে চ’লে গেল প্রেমিকের মতো সসন্ত্রমে ; তবুও সে প্রেম নয়, সুধা নয়,—মানুষের ক্লান্ত অস্তহীন ইতিহাস-আকৃতির প্রবীণত ক্রমায়াত ক’রে সে বিলীন ? እ>®ፋ
