মাই তব ; নাই নিম্নভূমি—নাই আনন্দের অন্তরালে প্রশ্ন আর চিন্তার আঘাত । স্বপ্ন তুমি দ্যাখোনি তো,—পথিবীর সব পথ সব সিন্ধ ছেড়ে দিয়ে একা হে সিন্ধসারস, t বিপরীত দ্বীপে দরে মায়াবীর আরশিতে হয় শুধ দেখা রপেসীর সাথে এক ;–সন্ধ্যার নদীর ঢেউয়ে আসন্ন গল্পের মতো রেখা প্রাণে তার,—মান চুল ;–চোখ তার হিজল বনের মতো কালো ; একবার স্বপ্নে তারে দেখে ফেলে পথিবীর সব পষ্ট আলো নিভে গেছে ;–তুমিসবপন দ্যাখো নাকো—যেখানে সোনার মধ্য ফুরায়েছে, করে না বনেন হে সিন্ধ:সারস, মাছি আর ; হলদে পাতার গন্ধে ভরে উঠে অবিচল শালিখের মন, মেঘের দপর ভাসে–সোনালি চিলের বািক হয় উন্মন মেঘের দপুরে, অাহা, ধানসিড়ি নদীটির পাশে ; সেখানে আকাশে কেউ নাই আর, নাই আর পথিবীর ঘাসে । জুমি সেই নিস্তব্ধতা চেনো নাকো,—অথবা রক্তের পথে পথিবীর ধালির ভিতরে হে সিন্ধসারস, জানো নাকো আজো কাঞ্চী বিদিশার মুখশ্ৰী মাছির মতো ঝরে ; সৌন্দয রাখিছে হাত অন্ধকার ক্ষুধার বিবরে ; গভীর নীলাভতম ইচ্ছা চেষ্টা মানুষের,—ইন্দ্ৰধনু ধরিবার ক্লান্ত আয়োজন হেমন্তের কুয়াশায় ফুরাতেছে অলপপ্রাণ দিনের মতন ! এই সব জানো নাকো প্রবালপঞ্জর ঘিরে ডানার উল্লাস হে সিন্ধ:সারস, রৌদ্রে ঝিলমিল করে শাদা ডানা শাদা ফেনা-শিশুদের পাশে হোলওট্রোপের মতো দপুরের অসীম আকাশে ! ঝিকমিক করে রৌদ্রে বরফের মতো শাদা ডানা, যদিও এ-পথিবীর স্বপন চিন্তা সব তার অচেনা অজানা । চঞ্চল শরের নীড় কবে তুমি—জন্ম তুমি নিয়েছিলে কবে সে সিন্ধসারাস, বিষন্ন পথিবী ছেড়ে দলে-দলে নেমেছিলে সবে আরব সমুদ্রে, আর চীনের সাগরে,-দর ভারতের সিন্ধর উৎসবে । শীতাত এ-পথিবীর আমরণ চেষ্টা ক্লান্তি বিহবলতা ছিড়ে নেমেছিলে কবে নীল সমাদের নীড়ে । Տ80
