পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"অনেকে ? যা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হবে ] দেরিতে হবে ? সময় দেরি করিয়ে দেয় মানুষকে । কিন্তু সময় ঢের বড় হলে সুসময়ের সাধ রয়েছেমানুষের হৃদয়ে’—হরীত খানিক ক্ষণ চুপ করে থেকে তার পর বললে, ‘সেটা খুব সম্ভব সময়ের চেয়ে বড় । বলে মনকে চোখ ঠার দিচ্ছে মনে হল হরতের । মানুষের ভেতরের চেহারা তো আবছা, খুব সম্ভব সেখানে কোনো আলো নেই ; এইই বলা উচিত ছিল, সত্য তো এই । কিন্তু আজকে এ রকম রাতে জুলেখাকে এ ধরনের কথা বলতে চাইল না হরীত । ‘মানুষের ভেতরের আলো ঘিরে মাছি অনেক, হরীত । আজকাল ঢের বেশি মাছি পড়ছে—’ "মাছি ? "ষ্ট্যা । অন্ধকার হয়ে পড়ছে আমাদের এ দিনকালের মানুষদের ভেতর-বার সব—' ‘ও !’ বললে হরীত । ঘোর কেটে যাবে, তবুও, জুলেখা বললে, ‘মানুষদের কথা আর বলতে গেল নী কেউ তার পর—রণত্রি, নক্ষত্র, বাতাসের ভেতর বসে থেকে । বাতাস আসছে,' জুলেখা বললে, ‘প্রান্তরের থেকে, প্রান্তরের ওপরের এক সমুদ্রের থেকে। কেমন গভীর, গভীর।’ ‘বাইরে কে হোচট খেল অন্ধকারে, শব্দ হল না জুলেখা ? কে মানুষ এই রাতে । কে ?’ অনেক ক্ষণ পরে বললে হরীত । ‘আমি নিশীথ এসেছি—ওঃ, তুমি হারাত, ঘরের ভেতরে ঢুকে নিশীথ বললে । ‘কলকাতার থেকে এলে বাবা ? ‘ভানু মরে গেছে । তোমার মা কেমন আছে ? "এইমাত্র মারা গেছেন, অন্ধকারের ভেতর থেকে বললে অচনি, নিশীথের দিকে তাকিয়ে । মারা যাবার পর খবর হরীতকে দিতে এসেছিল সে, এসে দেখল নিশীথ এসেছে । 'জুলেখা তুমি এইখানে ? রাস্তার দিকের দরজা দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে বললে । ‘আমার খোজে কী করে এখানে এলে তুমি ? S2షిd: