পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাজক্ষ-কামনার বিলাস শুভেন্দু উকি দিয়ে বললে, 'চুকতে পারি কি প্রমথ ? কল্যাণী বললে, 'আসুন— প্রমথ অবাক হয়ে তাকালে । একটা চেয়ার টেনে নিয়ে শুভেন্দু বললে, ‘অমন ই করে থাকার কিছু নেই—, ভাবছ কল্যাণীকে আমি চিনলাম কী করে ? তা চিনি হে চিনি—দুনিয়ার নানারকম জিনিসও হয়ে যায় ।” হাসতে-হাসতে আঙুল বুলিয়ে গোফজোড়া সাজিয়ে নিয়ে বললে, ‘আগে একে মিস গুপ্ত বলে ডাকতাম—শেষবার যখন দেখা হয়েছিল তখনো, কিন্তু এখন নাম ধরেই ডেকে ফেললাম, ডাকা উচিত, আগলাপ আমাদের নিশ্চয়ই এমন ঘনিষ্ঠতায় পৌছেছে’, বলতে-বলতে শুভেন্দু থেমে গেল । কেউ কোনো কথা বলল না । শুভেন্দু বললে, ‘তুমি রাগ কর নি কল্যাণী ? কল্যাণী মাথা হেঁট করে ছিল । মুখ তুলে শুভেন্দুর দিকে একবার তাকিয়ে ঘাড় নাড়ল । শুভেন্দু বললে, ‘কল্যাণী যে বিরক্ত হবে না তা আমি জানতাম—কিন্তু কেউকেউ হয়—তাদের সঙ্গে আমিও অত গণ মাখামাখি করতে যাই না । বয়ে গেছে আমার ; মানুষ আমি চিনি হে প্রমথ ; যারা বেশি-বেশি ভদ্রতা ও সামাজিকতার ভান করে, না আছে নিজেদের ভিতরে তাদের কোনো অন্তঃসার, না আছে পরের প্রতি কোনো—’ 8O১ २७