δΦά ছিলেন এবং বঙ্গসাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ সেবক ছিলেন । তৎকালীন বঙ্গসাহিত্য সম্পর্কিত বহু অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ‘আরতি,’ ‘বান্ধব,’ ‘সৌরভ,’ ‘সাহিত্য-সংহিতা’ প্রভৃতি সাময়িক পত্রিকায় তিনি যেসকল প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন, তন্মধ্যে ‘ব্রাহ্মণ,’ ‘প্রাচীন ভারতে চতুঃষষ্টি কলা, ‘আমাদের কোন পথ অবলম্বনীয়,’ ‘ভারতীয় কবি ও চিত্রকর, সংস্কৃত ভাষা চর্চার প্রয়োজনীয়তা’ প্রভৃতি একাধারে তাহার সংস্কৃত এবং বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্য এবং বিভিন্ন শাস্ত্রে গভীর জ্ঞান ও অনু সন্ধিৎসার পরিচায়ক । তাহার মৃত্যুর পরে তাহার সুযোগ্য পুত্র মহারাজ ভুপেন্দ্রচন্দ্র তাহার কতকগুলি প্রবন্ধ ও অভিভাষণ সংকলন করিয়। ‘কোমুদ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত করিয়াছেন । তিনি স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন এবং হিন্দু ধৰ্ম্ম ও সমাজের কল্যাণকর বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন । র্তাহারই সমাজ হিতৈষণামূলক ঐকান্তিক চেষ্টায় বরেন্দ্র ব্রাহ্মণ সমাজের আটটি পঠির সমন্বয় সাধন হয় । কলিকাতা নগরে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রাহ্মণ মহাসম্মিলনীর তিনি সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। তিনি ১৩১৮ বঙ্গাবোঁ ময়মনসিংহ নগরে অমু ভারতীয়-ঐতিহাসিক ষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন । সরকার বাহাদুর কর্তৃক, শিক্ষা সংস্কারাদিমূলক অনেক প্রতিষ্ঠানের সদস্ত মনোনীত হন । ১৯১১ সনে দিল্লীর দরবারে তিনি পূৰ্ব্ববঙ্গের জমীদারদের প্রতিনিধি স্বরূপ সম্রাট দর্শনের অনুমতি প্রাপ্ত হন । লক্ষ্মীর বরপুত্র হইলেও বাণীর আরাধনা তাহার জীবনের পরম পরিতোষের বিষয় ছিল । তিনি পবিত্র চরিত্র, মধুরস্বভাব, পাণ্ডিত্যের জন্য সৰ্ব্বজনমান্ত ছিলেন । ১৩২২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে দুর্গাপুরে তিনি দেহ ত্যাগ করেন । কুমুদনাথ চৌধুরী— প্রসিদ্ধ বাঙ্গালী ব্যবহারজী ও শিকারী । তিনি দেশ বিখ্যাত জননায়ক সার আশুতোষ চৌধুরীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন। কুমুদ নাথ তাহার অন্তান্ত অনেক ভ্রাতাদের দ্যtয় সাহিত্যচর্চা ও করিতেন । কিন্তু শিকারেই তাহীর বহু উৎসাহ ছিল । নানাস্থানে তিনি বহু আরণ্য জন্তু শিকার করিয়াছিলেন । তৎপ্রণীত ‘ঝিলে জঙ্গলে শিকার’ একখানি মনোজ্ঞ পুস্তক । ১৩৪০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে, মধ্যপ্রদেশের অন্তর্গত এক করদ রাজ্যে শিকার করিতে যাইয়া, আহত ব্যান্ত্রের আক্রমণে নিহত হন । কুম্ভ, মহারাণী—চিতোরের প্রসিদ্ধ রাজপুত নৃপতি । তাছার সম্পূর্ণ নাম
