পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকান্ত পাল থই পেলেনা, ন’দে উঠেছে । কারে জালি বাসতে ভাল, সে মনের মত ছিল, সদা ওর মনছিল, সেই রূপের কাছে ও পেলে না সে বলে, তাইতে বিকল । অন্তরে ওর দাগ লেগেছে । বুঝি ওর মনপুড়ে যায়, নাইকে স্থির ভ্ৰমি বেড়ায়, তাপিত প্রাণ শীতল হয়, স্থান কোথায় আছে ? তার প্রেমানলে দগ্ধ হৃদয়, নয়নে নিশান আছে । নাইকে ওর দুঃখের অন্ত, 연장 जन| भन चोख्छ नम्नन छब् ?tफुtछ् । কৃষ্ণকান্ত বলে, শাস্তি নাই তার যাবজ্জীবন তাবৎ আছে ৷ কৃষ্ণকান্ত পাল চৌধুরী বা কান্ত পাৰ্ত্তী—তিনি রাণাঘাট পালচৌধুরী ংশের প্রতিষ্ঠাতা। র্তাহার পিতার নাম সহস্ররাম পাল। তাছারা জাতিতে তিলি । সহস্ররামের কৃষ্ণকান্ত, শস্তুচন্দ্র ও নিধিরাম নামে তিন পুত্র ছিল । কৃষ্ণকান্ত ১৭৪৯ খ্ৰীঃ অব্দের (১১৫৬ বঙ্গাব্দের) অগ্রহায়ণ মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাহাঁর পিতার অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না । সুতরাং কৃষ্ণকান্ত লেখাপড়া শিক্ষার সুযোগ পান নাই । তিনি পাম বিক্রয় করিতেন বলিয়া, জীবনীকোষ ১৫২ পান্তী নামে খ্যাত হন। গাংনাপুরের ও আন্দুলের হাট হইতে দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া বিক্রয় করিতেন । এই প্রকারে তিনি কিছু অর্থ সঞ্চয় করিতে সমর্থ হন। ১৭৮৬ খ্ৰীঃ অব্দে কলিকাতীয় ছোলা দুষ্প্রাপ্য হয়। এই সময়ে রাণাঘাটে একজন মহাজন ছোলা ক্রয় করিতে আসেন । কৃষ্ণকান্ত র্তাহীকে ছোলা সংগ্ৰহ করিয়া দিতে প্রতিশ্রুত হন এবং তঁtহার সহিত এক চুক্তি পত্র স্বাক্ষরিত হয়। এই সময়ে আড়ংঘাটার মহান্ত গঙ্গারামের গোলায় অনেক সঞ্চিত ছোলা ছিল । সেই ছোলা কীটদষ্ট হইতে আরম্ভ করিলে, তিনি অতি অল্প মূল্যে র্তাহার নিকট বিক্রয় করেন। চুক্তি পত্রনুযায়ী তিনি সেই ছোলা পূৰ্ব্বোক্ত কলিকাতাগত মহাজনের নিকট বিক্রয় করিয়া ছয় সহস্র মুদ্রা লাভ করেন। ঐ টীকায় তিনি কলিকাতায় লবণের ব্যবসায় করিয়া প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। র্তাহার ভ্রাতা শম্ভুচন্দ্রের পরামর্শে তিনি কয়েকটি জমিদারী ক্রয় করেন । কৃষ্ণনগরের রাজার মধ্যে মধ্যে র্তাহার নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিতেন। সেই সময়ের কৃষ্ণনগরের রাজা শিবচন্দ্র র্তাহাকে চৌধুরী উপাধি প্রদান করিয়া সন্মানিত করেন । কৃষ্ণকান্ত রাণাঘাট ক্রয় করিয়৷ ১৭৯৯ খ্ৰীঃ আকৌ বাস