কৃষ্ণদাস অভিমুখে রওনা হইলেন । শম্ভুজকে সঙ্গে করিয়া মালবের পথে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিবার সময়ে মালবের মুসলমান শাসনকৰ্ত্তীর সন্দেহ দৃষ্টি র্তাহীদের উপর পতিত হইল ! এই সময়ে কৃষ্ণজী বিশ্বনাথ শস্তুজীকে স্বীয় পুত্র বলিয়া পরিচয় প্রদানপূর্বক এক পাত্রে তাহার সহিত অtহার করিয়া নিষ্কৃতি পাইলেন। এই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় শভূজীর সহিত এক পাত্রে আহার করিতে ইতস্তত: করিলেই, শম্ভুজীর জীবন শেষ হইত। ধন্ত প্ৰভু ভক্তি ! ধন্ত স্বজাতীপ্ৰেম ! কৃষ্ণতাতার্ষ্য – এই দাক্ষিণাত্যবাসী পণ্ডিত ‘ণত্বচন্দ্রি কা’ নামে এক প্রবন্ধ রচনা করিয়াছেন । তাহাতে তিনি প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন যে, নারায়ণ শব্দে ণ থাকায় এই শব্দদ্বারা মহাদেবকে বুঝাইতে পারে না । কৃষ্ণতীর্থ ভারতী—তিনি দক্ষিণাত্যের শৃঙ্গেরী মঠে ১৩৩৩ হইতে ১৩৮০ খ্ৰীঃ অধ্য পর্য্যন্ত অধ্যক্ষ ছিলেন । তাহার পূর্ব নাম সোমনাথ । তিনি ও ভারতীয়-ঐতিহাসিক صbوالا ন্যায়-মালা ? ইহা শঙ্কর মত সমর্থক এক খান উৎকৃষ্ট গ্রন্থ । কৃষ্ণদাস– (১) কৰ্ত্তাভজা সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তক আউল চাদ ফকিরের ২২ জন শিষ্যের অন্যতম । আউল চাদ দেখ । কুষ্ণদাস – (২) মহাভারতকার কাশীরাম দাসের জ্যেষ্ঠ সহোদর। তিনি খুব ধাৰ্ম্মিক লোক ছিলেন । তাহার গুরু গোপাল দাস দীক্ষার সময়ে তাছার নাম শ্ৰীকৃষ্ণকিঙ্কর প্রদান করেন । র্তাহার রচিত গ্রন্থের নাম ‘শ্ৰীকৃষ্ণ বিলাস’ । যদিও শ্ৰীভাগবতকে তাহার গ্রন্থের উপাদান স্বরূপ গ্রহণ করিয়াছেন, তবু স্থান বিশেষে সংযোজন, বর্জন প্রভৃতি নিজ অভিপ্রায়মুযায়ী করিয়াছেন । কৃষ্ণদাস— (৩) এই কৃষ্ণদাস ‘দূতী সংবাদ’ রচয়িত। তাহার গ্রন্থের উপাখ্যান ভাগ ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণ হইতে গৃহীত । কৃষ্ণদাস— (৪) এই কৃষ্ণদাস বৃন্দাবন রাধাকুণ্ড লিবাসী একজন ভক্ত বৈষ্ণব ছিলেন । তিনি ভাগবতের টীকাকার র্তাহীর ভ্রাতা মাধব উক্ত মঠের অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী রচিত চমৎকার বিদ্যাশঙ্কর তীর্থের ( ১২২৮-১৩৩৩ খ্ৰী: ) নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিয়া, ভারতী কৃষ্ণতীর্থ ও বিদ্যারণ্য নাম প্রাপ্ত হন। স্বীয় গুরুর মৃত্যুর পরে ভারতী কৃষ্ণতীর্থ উক্ত মঠের অধ্যক্ষ হইয়াছিলেন । তাহার রচিত গ্রস্থের নাম—‘বৈয়াসিক চন্দ্রিকার পদ্যানুবাদ করিয়াছিলেন । কৃষ্ণদাস— (৫) খ্ৰীঃ ষোড়শ শতাব্দীতে দাক্ষিণাত্যে মাধব সম্প্রদায়ের ভক্ত কৃষ্ণদাস বর্তমান ছিলেন । তিনি কাণেড়ী ভাষাম কৃঞ্চ স্তোত্র লিখিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
