পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసి কৃষ্ণদাস—(৬) বল্লভী সম্প্রদায়ের এই ভক্ত ১৫৫০ খ্ৰীঃ আবেদ বর্তমান ছিলেন । তিনি ‘প্রেমরস-রস’ নামে একখান। কাব্য লিখিয়াছেন । সম্ভবত তিনি গুজরাটের অধিবাসী ছিলেন । কৃষ্ণদাস— (৭) একজন জ্যোতিৰ্ব্বিদ পণ্ডিত । ‘অশ্বরুড়ি’ নামক গ্রন্থ র্তাহীরই রচিত । কৃষ্ণদাস—(৮) সহজিয়া দৈষঃব সম্প্রদায়ের তিনি একজন গ্রন্থকার। র্তাহার রচিত গ্রন্থের নাম ‘প্রাপ্তি বর্ণ দীপিকা’ । কৃষ্ণদাস কবিরাজ (গোস্বামী) — চৈতন্যচরিতামৃতকার সুপ্রসিদ্ধ বৈষ্ণব কবি । অনুমান ১৫৩০ খ্ৰীঃ অব্দে বৰ্দ্ধমান জিলার অন্তর্গত ঝামটপুর গ্রামে বৈদ্য বংশে কৃষ্ণদাসের জন্ম হয় । তাহার পিতার নাম ভগীরথ কধিরাজ ও মাতার নাম মুনন্দা দেবী । শৈশবে মাতৃপিতৃহীন হইয়া কৃষ্ণদাস ও তদীয় কনিষ্ঠ ভ্রাত গু মাদাস , সন্তানহীন পিতৃঘসার আশ্রয়ে প্রতিপালিত হন । প্রথমে গ্রাম্য পাঠশালায় কিছুদিন অধ্যয়ন করিয়া, পরে সংস্কৃত ব্যাকরণ ও কিঞ্চিৎ ফারশী শিক্ষা করেন । বাল্যাবধি কৃষ্ণদাসের সাধু সংসর্গ ও ধৰ্ম্মালোচনীর প্রবৃত্তি প্রবল ছিল। ছবিশ বৎসর বয়সে পিতৃঘসার মৃত্যুর পর, বিষয় সম্পত্তি প্রভৃতির তত্ত্বাবধানের ভার কনিষ্ঠের উপর ন্যস্ত করিয়া কৃষ্ণদাস একাগ্রচিত্তে ধৰ্ম্মচিন্তা, শাস্ত্রী ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণদাস লোচনা ও সাধন ভজনে নিবিষ্ট হইলেন। এই সময় তিনি শ্রীচৈতন্ত প্রচারিত প্রেমধৰ্ম্মের প্রতি অীকৃষ্ট হন । অনন্তর সংসার ত্যাগ করিয়", তীর্থ পর্যটনে বহির্গত হইয়া, ব্রজমগুলে উপনীত হন। কেহ বলেন মহাপ্রভু নিত্যানন্দ কর্তৃক স্বপ্নদিষ্ট হইয়া, তিন ংসার ত্যাগ করেন । অপরের মতে পাঠান ও মুঘল বিজেতাগণের আক্রমণে বিধ্বস্ত ও লুপ্ত তীর্থ সমূহের উদ্ধারের সঙ্কল্পে ক্রীচৈ গুন্তকে সহায়তা করিবার জন্য নিত্যানন্দ প্রভু কর্তৃক তিনি ব্রজধামে প্রেরিত হন । যাহা হউক তথায় উপস্থিত হইয়া, তিনি তৎকালীন বিখ্যাত গৌড়ীয় বৈঞ্চবাচার্যগণের সাহচৰ্য্য লাভ করেন এবং রঘুনাথ গোস্বামীর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিয়া তাহার নিকট ভক্তিগ্রন্থ সমূহ অধ্যয়ন ও তাহাতে পারদর্শিতা লাভ করেন । অতঃপব রূপ, সনাতন, ভট্ট রঘুনাথ, কবি কর্ণপুর, গোপালভট্ট, জীবগোস্বামী প্রভৃতি বৈষ্ণবাচার্য্যগণের আদেশ ও উৎসাহে ‘কৃষ্ণামৃত” গ্রন্থের টীকা ও ‘গোবিন্দ লীলামৃত” এবং "ভাগবতশাস্ত্র গৃঢ়-রহস্ত’ নামক গ্রন্থদ্বয় রচনা করেন । অবশেষে বৃদ্ধবয়সে বৈঞ্চল ভক্তগণের অনুরোধে ঐচৈতন্তের অন্তলীলা বিষয়ে তাহদের অতৃপ্ত বাসন পরিতৃপ্ত করিতে মহাপ্রভূর শেষ জীবন সুবিস্তৃত রূপে বর্ণনা করিয়া “চৈতন্ত