পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫ সহিত প্রবেশিক ও পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদয় পরীক্ষীয় উত্তীর্ণ হন। প্রবেশিক পরীক্ষায় তিনি কুড়ি টাকা বৃত্তি পান এবং এম-এ পরীক্ষায় সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করেন। স্কুলে পড়িবার সময়েই ইংরেজী রচনায় তাহীর বিশেষ ক্ষমতা জন্মে এবং ইণ্ডিয়ন মিরার প্রভৃতি সংবাদপত্রে প্রবন্ধ প্রকাশ করিতে থাকেন । কলেজে পড়িবার সময়েই অগ্রজ কেশবচন্দ্রের প্রভাব তিনি বিশেষ ভাবে অনুভব করেন এবং শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করিয়া, সস্ত্রীক কেশবচন্দ্রের নিকট ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । দেশ বিখ্যাত আনন্দ মোহন বসু ও ব্রাহ্ম আচাৰ্য্য পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীও ঐদিনেই দীক্ষা গ্রহণ করেন । কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া কৃষ্ণবিহারী প্রথমে (১৮৭২ খ্ৰীঃ) কলিকাতা footato ( Calcutta School ) প্রধান শিক্ষকের পদ লাভ করেন । পরে ইহার রেক্টর ( Rector ) হন । ঐ শিক্ষায়তনটিই পরে অ্যালবার্ট স্কুল নাম প্রাপ্ত হয় এবং ক্রমে অ্যালবার্ট

  • Călcoi (Albert College) *fadē হয় (১৮৮১) । ১৮৭৬ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি জয়পুর কলেজের অধ্যক্ষ ও জয়পুর শিক্ষা fastcolo off (Director of Public Instruction ) sēņi GHzH HAR

করেন । দেড় বৎসর কলি দক্ষতার সহিত ঐ কাজ করিয়া স্বেচ্ছায় উহ ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণবিহারী পরিত্যাগ করেন । কয়েক বৎসর পরে (১৮৮৩ খ্রীঃ) তিনি মাসিক ছয়শত টাকা বেতনে অবকারী বিভাগে উচ্চ পদে নিযুক্ত হন । কিন্তু অধিক কাল ঐ পদে কাজ করেন নাই । কৃষ্ণবিহারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সদস্য এবং কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষক হইয়াছিলেন। তিনি সুবক্তা ছিলেন । নানাস্থানে তাহীর ধৰ্ম্ম ও সাধারণের উপযোগী বিষয় সকলের উৎকৃষ্ট বকৃত জনসাধারণকে মুগ্ধ করিত। কেশবচন্দ্রের কন্যার সহিত কুচবিহারের রাজার বিবাহ উপলক্ষে যখন ব্রাহ্ম সমাজে ঘোর আন্দোলন উপস্থিত হয়, তখন কৃষ্ণবিহারী ইণ্ডিয়ান মিরীর ও সানডে fäätä (Sunday Mirror) afxo পত্রিকাদ্বয়ের সম্পাদনভার গ্রহণ করিয়া যোগ্যতার সহিত উহা পরিচালনা করিতে থাকেন। তাহার কিছুকাল পরে তিনি ‘দি লিবারেল অ্যাও দি নিউ fotoacăxin' (The Liberal and the New Dispensation ) Riño পত্রিকার সম্পাদকের পদ লাভ করেন ( ১৮৮২ খ্রী: ) । কেশবচন্দ্রের মৃত্যুর পর তিনি নানাভাবে কেশবচন্দ্রের স্মৃতিচিহ্ন স্থাপনের চেষ্টা করেন। তাহারই ফলে কলিকাতা টাউন হল ও অ্যালবার্টহলে কেশবচন্দ্রের তৈলচিত্র রক্ষিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতীছাত্রকে “কেশবচন্দ্র