কৃষ্ণভারতী প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলে, কয়েকটি পারিবারিক কারণে গৃহের সহিত দেবেন্দ্র নাথের প্রায় সকল সম্পর্ক ছিন্ন হয় । কেবল র্তাহার একমাত্র কন্ঠা তিলোত্তমাকে মধ্যে মধ্যে দেখিতে পাইতেন । এই সময় দেবেন্দ্ৰ নাথ বরিশালে অধ্যাপকের পদ প্রাপ্ত হন । ইহীর কিছুকাল পরে দেবেন্দ্রনাথের পরলোক গমনে কৃষ্ণভামিনী নিতান্ত নিরাশ্রয় ও শোকে মুহ্যমান হইয়া পড়েন । ঐ সময়ে শ্ৰীনাথ দাস মহাশয়ের মধ্যম পুত্র জ্ঞানেন্দ্রনাথ র্তাহাকে আশ্রয় প্রদান করেন । ইহার অল্পকাল পরেই তাহার একমাত্র কন্যা তিলোত্তমার মৃত্যু ঘটে । অপত্যশোক কিঞ্চিৎ প্রশমিত হইলে, তিনি স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে আত্মনিয়োগ করেন এবং ভারত-স্ত্রীমণ্ডল প্রতিষ্ঠা করেন। ইহাই তাহাঁর জীবনের প্রধান কীৰ্ত্তি। ইহার জন্য তিনি র্তাহার স্বামীর রচিত পুস্তক সমূহের তিন হাজার টাকা বার্ষিক অtয় প্রদান করেন। বিশিষ্ট ধনী পরিবারের বধু হইলেও, তিনি অতিশয় অনাড়ম্বর সরল জীবন ষাপন করিতেন । কত অনাথ বালিকা এবং আশ্রয়হীন৷ বিধবা যে কত ভাবে তাহার সাহায্য ब्रॉएड शत्रु श्ब्रॉtछ्, उँtशद्र इंप्रख नहेिं। নারী কল্যাণে ব্ৰতী বহুপ্রতিষ্ঠানের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। জীবনী-কোষ سرا مناخ প্রশংসা বা নিন্দার প্রতি কিছুমাত্র ক্ৰক্ষেপ না করিয়া, তিনি নীরবে কৰ্ম্ম করিয়া যাইতেন । তিনি আজন্ম-শিক্ষক ও প্রকৃত বিদুষী ছিলেন। স্কল কলেজে শিক্ষালাভ করিবার সুযোগ না পাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় তাহীকে পরীক্ষক নিযুক্ত করিয়াছিলেন । কৃষ্ণভারতী—তিনি অসম প্রদেশের ষোড়শ শতাব্দীর একজন গ্রন্থকার । র্তাহার রচিত গ্রন্থের নাম —‘সন্তনির্ণয়’ । এই উৎকৃষ্ট গ্রন্থে তিনি শঙ্করা কাৰ্য্য হইতে আরম্ভ করিয়া, চৈতন্য মহাপ্ৰভু ও আসামের শঙ্কর দেব, মাধব দেব প্রভৃতির বিবরণ অতি সুন্দরব্ধপে প্রদান করিয়াছেন ! কৃষ্ণমাণিক্য, মহারাজ – তিনি ত্রিপুরাধিপতি মুকুন্দ মাণিক্যের তৃতীয় পুত্র। মহারাজ মুকুন্দ মাণিক্য বিষপানে প্রাণত্যাগ করিলে, রুদ্রমণি ঠাকুর নামক রাজবংশীয় এক ব্যক্তি ১৭৩৮ খ্ৰীঃ অব্দে জয়মাণিক্য নাম গ্রহণ করিয়া রাজা হইয়াছিলেন । এই সময় হইতে কৃষ্ণমাণিক্যের রাজ্যারোহণ পর্য্যন্ত ( ১৭ ৬০ খ্ৰীঃ অব ) রাজ্যে অতিশয় অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল। ক্রমে জয়মাণিক্য, ইন্দ্রমাণিক্য, জয়মাণিক্য ২য় বার, উদয়মাণিক্য, জয়মাণিক্য ৩য় বার, ইন্দ্রমাণিক্য ২য় বার, জয়মাণিক্য ৪র্থ বার ও বিজয়মাণিক, রাজা হইয়াছিলেন । এই
