는 পরিচিত ছিল । ( ১৯৩৫ খ্ৰীঃ অক্টোবর) কাৰ্ত্তিক মাসে কলিকাতার উপকণ্ঠে বরাহনগরে তিনি পরলোক গমন করেন । কৃষ্ণশৰ্ম্মা—তিনি একজন জ্যোতিৰ্ব্বিদ পণ্ডিত ছিলেন । তাহার রচিত গ্রন্থের নাম — ‘মকরন অভিনব তামরস । কৃষ্ণশত বাহন—তিনি দাক্ষিণাত্যের শীতবাহন বংশীয় একজন নরপতি ছিলেন । সম্ভবত এই বংশ খ্ৰীঃ পূৰ্ব্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে বৰ্ত্তমান ছিল । এই ংশের কৃষ্ণ, সিমুক, শ্ৰীশীতকর্ণা ও গৌতমীপুত্র এই চারিট নাম মাত্র পাওয়া গিয়াছে । সিমুকের পরে র্তাহার ভ্রাতা কৃষ্ণ রাজা হইয়ছিলেন । কৃষ্ণশাস্ত্রী চিপলুনকার – মারাঠা সাহিত্যিক ও গ্রন্থকার । ১৮২৪ খ্রীঃ অব্দে পুনা নগরে তাহার জন্ম হয়। প্রথমে তিনি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিশেষভাবে অধ্যয়ন করেন। পরে ইংরেজী শিক্ষার বিদ্যালয় স্থাপিত হইলে তিনি ভালরূপে ইংরেজী শিক্ষা করেন। তিনি কিছুকাল পুনা কলেজে মারাঠি ভাষার অধ্যাপকের কাজ করেন। পরে পুনা টেনিং কলেজের (Training College) of a তিনি কিছুকাল দেশীয় সংবাদ পত্র সুমূহের মতামত সংগ্রাহকের পদেও নিযুক্ত ছিলেন । ঐ পদ বর্তমানকালের সরকারী অনুবাদকের কাজের তুল্য ভারতীয়-ঐতিহাসিক ১৩৪২ বঙ্গাব্দের ছিল। তিনি ইংরেজী ও সংস্কৃত হইতে कुक्siञब्ल অনেক গ্রন্থ মারাঠ ভাষায় অনুবাদ করেন ৷ ‘শালাপত্রক’ নামক একখানি মারাঠি পত্রিকা সম্পাদনও করেন। ১৮৭৮ খ্ৰীঃ অব্দে তাহীর মৃত্যু হয় । কৃষ্ণহরি দণস—র্তাহার জন্ম স্থান রংপুরে অন্তর্গত মহীসুর গ্রামে। তিনি জাতিতে রাজবংশী ছিলেন । র্তাহার মাতার নাম পঞ্চিমী । তিনি বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । তিনি উপনিষদের ভাব অবলম্বন করিয়া হিন্দু মুসলমান ধৰ্ম্মের সমন্বয় সাধন করিতে প্রয়াসী হইয়াছিলেন । তাহার রচিত সত্যপীরের গান, জঙ্গনামা, নচিনামা প্রভৃতি গ্রন্থে সেই ভাবই প্রচার করিয়াছেন । তিনি বহু পরিমাণে কৃতকাৰ্য্যও হইয়াছিলেন । কৃষ্ণাচাৰ্য্য—(১) তিনি একজন বৌদ্ধ তান্ত্রিক । খ্ৰীঃ অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি বৰ্ত্তমান ছিলেন । তাহার রচিত গ্রন্থের নাম—সম্পুট তিলক । কৃষ্ণাচাৰ্য্য—(২)’যোগরত্ন মালা’ নামক গ্রন্থ তাহারই রচিত । এই গ্রন্থ এক্ষণে কেন্থিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে । কৃষ্ণানন্দ– এই কবির রচিত একথানা ‘মনসার ভাসান’ পাওয়া গিয়াছে । ‘কক্রবিনতা সংবাদ’ নামক গ্রন্থ রচয়িত আর এক কৃষ্ণানন্দ ছিলেন। এই উভয়ই এক ব্যক্তি কি না বলা সহজ নহে ।
