२२d আত্মরক্ষা করেন। ১৬৯৬ খ্ৰীঃ আবেদ রাজা গদাধর সিংহ পরলোক গমন করিলে, তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রুদ্রসিংহ রাজা হন । তিনি বৈষ্ণব বিদ্বেষী না হইয়া বৈষ্ণব ভক্ত ছিলেন। কেশব গোসাইকে তিনি র্তাহার পলায়িত গুপ্ত স্থান হইতে আনয়নপূর্বক গুরুর পদে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । বলিতে গেলে তিনি দৈত্যকুলে প্ৰহলাদ ছিলেন। কেশবচন্দ্র আচাৰ্য্য চৌধুরী— ময়মনসিংহের অন্তর্গত, মুক্তাগাছার জমিদার বংশের তিনি অন্যতম মুসন্তান। তিনি অতি সদাশয় লোক ছিলেন । জমিদার বলিয় তাহার কিছুমাত্র গৰ্ব্ব ছিল না । তিনি সৰ্ব্বসাধারণের সহিত জনহিতকর কার্য্যে সব্বদ। যোগ দিতেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ওকালতি পাশ করিয়া, তিনি ময়মনসিংহ সদরে ওকালতী করিতেন । এই আইন ব্যবসায়ে ও স্বাধীন বুদ্ধির পরিচয় দিয়া, তিনি যথেষ্ট যশ ও সন্মান লাভ করেন । তাহার আত্মসন্মান বোধ অতিশয় প্রখর ছিল । একবার ঢাকা নগরে তথা করি প্রতাপাম্বিত জমিদার ওয়াইজ সাহেবের প্রধান কৰ্ম্মচারী ডন সাহেবের গাড়ীর সহিত কেশব বাবুর গাড়ীর সংঘর্ষ হয় । ইহাতে ডন সাহেব অতিশয় উত্তেজিত হইয়া, কেশব বাবুকে আক্রমণ করেন। কেশববাবু পশ্চাৎপদ হইবার লোক ছিলেন না । p q& سہ۔ چ&ج ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র তিনি তাহাকে যথেষ্ট প্রহার করিয়া আক্রমণের প্রতিশোধ গ্রহণ করেন । ডন সাহেবও এই অপমানের বিষয় ভুলিয়া যান নাই। ১৮৬৬ সালে ময়মন সিংহে কৃষি প্রদর্শনী মেলা হয় । সেই মেলার কার্য্যপরিচালনার ভার ডন সাহেবের হাতে ছিল । এই মেলার প্রবেশ পথে একদিন ডন সাহেব কেশব বাবুকে অপমান করেন । বলাবাহুল্য এজন্য র্তাহীকে কেশব বাবুর নিকট ক্ষম। চাহিতে হইয়াছিল। কেশব বাবু সাধারণতঃ কেশব মহারাজ নামেই অভিহিত হইতেন । রাজনৈতিক ব্যাপারে তিনি অগ্রগণ্য ছিলেন । তিনি ময়মনসিংহ রেলওয়ে আন্দোলনের অগ্রবর্তী ছিলেন । তাছার গৃহ সমুদয় রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ছিল। ভূম্যধিকারী সভা তাহারই যত্নে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । ময়মনসিংহের সারস্বত সমিতির তিনি প্রাণস্বরূপ ছিলেন এবং বহু বৎসর তাহীর সভাপতি ছিলেন । ‘অফিগান বিবরণ ও Law of Adoption 313 Öigłoś iss's তাহার একটা প্রকাণ্ড পুস্তকালয় ছিল । বহু সাহিত্যিক তাহার নিকট সাহায্য পাইতেন । তিনি ময়মনসিংহ সিটিস্কুল স্থাপন কৰ্ত্তাদের অষ্ঠতম ছিলেন । এই স্কুলই পরে আনন্দমোহন কলেজে পরি ণত হয় । তিনি একজন অসীম সাহসী শিকারী ছিলেন। তিনি যেরূপ
