কেশব কাশ্মীরী তাহার প্রপৌত্র চুতুম হল হিন্দু নাম জয়ধ্বজ গ্রহণ করিয়াছিলেন । তিনি দিল্লীর সম্রাট আওরঙ্গ জীবের সমসাময়িক ছিলেন । রাজা জয়ধ্বজ এক জন পরীক্রান্ত নরপতি ছিলেন । এই সময়ে দিল্লীর সম্রাট মীর জ্বালা নামক এক সেনাপতিকে আসাম জয় করিতে প্রেরণ করেন । মীর জুমলা বিশেষরূপে পরাজিত হইয়া প্রত্যাবস্তুন করেন ৷ জয়ধ্বজ মুঘল দিগকে দশ হইতে তাড়াইয়। দয়া গোয়াগপাড়া পর্যন্ত স্বীয় রাজ্যভুক্ত করিয়া লরেন। ১৬৯৫ খ্ৰীঃ অব্দে রাজ। রুদ্র সি-চ র জ। তিনি এই সংশের এক জন শ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন । তিনি শান্তি পুর অঞ্চল হইতে কৃষ্ণরাম ভট্টাচাৰ্য্য দ্য সুধাগণকে আসামে আনয়নপূর্বক তাহর নিকট শক্তি মন্ত্রে দীক্ষিত হন । তাহার পরবৰ্ত্তা রাজার। অতি আকৰ্ম্মণ্য নরপতি ছিলেন। রাজা গৌরীনাথ দ রং রাজ্যের কোচ রাজ। কর্তৃক বিতাড়ি ত হইলে, ১৭৯২ খ্ৰীঃ অব্দে ইংরেজ গভর্ণমেণ্ট তাহাকে স্বীয় রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন । তৎপরে পূর্ব অসীম বৰ্ম্ম৷র রাজা অধিকার করেন । ১৮২৬ খ্ৰীঃ অব্দে আসীন হন । ইংরেজ গণিমেণ্টের অধীন হর । তদবধি তাহারা নামে মাত্র রাজ। উপাধি গ্রহণ করিয়া গোহাটী নগরে অবস্থান করেন । গৌরীনাথের পরে র্তাহীর ভ্রাতা চন্দ্র কান্ত অগ্রজের উপাধি জীবনী-কোষ २२8 পাইলাছিলেন। কেশবকান্ত এই চন্দ্র কান্তেরই পৌত্র। কিছুকাল পূৰ্ব্বে তিনি পরলোক গমন করিয়াছেন । কেশব কাশ্মীরী—কাশ্মীর দেশবাসী এই দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত বিষ্ঠীর বিচারে বঙ্গদেশ জয় করিবার জন্য, নবদ্বীপে উপস্থিত হইয়, তথাকার পণ্ডিত মণ্ডলীকে তর্ক যুদ্ধে আহবান করেন । নিমাই পণ্ডিত তাহীর সঠিত বিচার করিবার জন্ত গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইলেন । দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত তথনকার গঙ্গর শোভা বর্ণন করি। একটী স্তে ত্র রচনা করিলেন । সকলে তাহার কবিত্বে মুগ্ধ হইলেন । কিন্তু নিমাই পণ্ডিত তাহার প্রত্যেকটা শ্লোকের অলস্কারের দোষ প্রদর্শন করিয়া, তাহাকে পরাস্ত করিলেন । কেশ। কাশ্মীরা স্নান মুখে প্রস্থান করিলেন । এই নিমাই পণ্ডিতই মই প্রভু শ্ৰীচৈতন্থ। কেশব গোসাই—আসাম প্রদেশে মহাপুরুষ শঙ্কর দেব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের তিনি একজন গুরু | আহম নরপতি গদাধর সিংহ ও রুদ্র সিংহের রাজত্বকালে ( ১৬৮১ খ্ৰী: অব্দ—১৭১৪ খ্ৰীঃ অদ পর্যন্ত) তিনি বৰ্ত্তমান ছিলেন । গদাধরসিংহ বৈষ্ণব গোঁসাইদের উপর অত্যাচার করিতে আরম্ভ করিলে, কেশব দেব গোসাই তাছার ওনিয়াতি নামক স্থানের ছত্র হইতে পলায়নপূর্বক ভুটিয়া জাতির আশ্রয়ে 済 to
