কেশবচন্দ্র মোহনের মৃত্যু হওয়ায় তাহার শিক্ষা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নবীনচন্দ্রের তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন হয়। কলিকাতার কলেজ ষ্ট্রীটস্থ বর্তমান অ্যালবার্ট হল নামক ভবনের সন্নিকটস্থ এক সামান্য পাঠশালায় তাছার বিদ্যারম্ভ হয় । পরে, হিন্দু কলেজ, হিন্দু মেট্ৰপলিটান ( বর্তমান বিদ্যাসাগর ) কলেজ প্রভৃতি স্থানেও তিনি শিক্ষা লাভ করেন। ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র ও বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়েই র্তাহার বিশেষ অনুরাগ ছিল । গণিত শাস্ত্রে তাদৃশ পারদর্শী ছিলেন না বলিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা অথবা উপাধি লাভ করিতে পারেন নাই । বাল্যকাল হইতেই তিনি গম্ভীর প্রকৃতি, আত্মপ্রত্যয়ী, ধৰ্ম্মপ্রাণ এবং নীতি পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন । সদগ্রন্থ পাঠে তাহার বিশেষ অনুরাগ ছিল । মুরুচিসম্পন্ন আমোদ কৌতুক ও র্তাহার বিশেষ প্রিয় ছিল এবং ইংরেজ কবিদের কাব্য পাঠে বিশেষ অসিক্তি ছিল । নির্জন স্থানে বসিয়া আত্মচিন্ত করা, গভীর ধৰ্ম্মতত্ত্ব সকল আলোচনা করা অথপ মহাপুরুষদের বাণী সকল পাঠ করা, তাছার বিশেষ প্রিয় কাৰ্য্য ছিল । যৌবনকালেই বিষয় বৈরাগ্য র্তাহাকে অভিভূত করে । অল্পভাষী, ধীর প্রকৃতি চিন্তাশীল কেশবচন্দ্রকে সমবয়স্ক সহচরগণ অহঙ্কারী দাস্তিক বলিয়া মনে জীবনী-কোৰ ২২৮ করিতেন । অষ্টাদশবর্ষ বয়সে কুল প্রথানুযায়ী কেশবচন্দ্রের বিবাহ সম্পন্ন হয়। যৌবনমুলভ চাপল্য ও মুখপ্রিয়ত। র্তাহাকে অভিভূত করিতে পারে নাই। বিবাহিত জীবনের প্রথম কয়েক বৎসর তিনি পূর্বেরই স্তায় নিজেকে কঠোর নৈতিক শাসনাধীনে রাখিয়া বৈরাগ্যভাব প্রণোদিত হইয়া নির্জন বাস ও শাস্ত্রানুশীলনেই অতিবাহিত করিতেন । নিজের নৈতিক জীবন উন্নত রাখা এবং অন্তকে ও তদ্বিষয়ে সাহায্য করা কৈশোর হইতেই কেশবচন্দ্রের বিশেষ লক্ষ্যের বিষয় ছিল। মাত্ৰ সতের বৎসর বয়সেই, তিনি বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে মিলিত হইয়। ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি ( The British lndia Society ) Rt.; একটি সমিতির কাজে উৎসাহের সহিত যোগ দেন । তৎকালীন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং খ্যাতনাম। খ্ৰীষ্টান পাদ্রীরা ঐ সমিতির কাজের সহিত যুক্ত ছিলেন। ঐ সমিতির পক্ষ হইতে ১৮৫৫ খ্ৰীঃ আন্দে তাহীদেরই বাসভবনে একটি নৈশবিদ্যালয় স্থাপিত হয় । সেখানে অদ্যান্য বিষয়ের সহিত ছাত্রদের নৈতিক জীবন উন্নতিরও চেষ্টা করা হইত। ঐ সময়েই আর একটি ঘটনা তাহার জীবনের উপর বিশেষ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৬ খ্ৰীঃ অব্দে বৰ্ত্তমানকালের আই.এ পরীক্ষার সমতুল, উচ্চ-বৃত্তি পরীক্ষা ( Senior