পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S్చలి) সভার সদস্তগণই পরে কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মপ্রচার কার্য্যে প্রধান সহায় হইয়া ছিলেন । ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন । কেশবচন্দ্র ও র্তাহার মতাবলম্বীদিগের অতু গ্র সংস্কারমূলক আন্দোলনে ব্রাহ্ম সমাজের প্রাচীন সম্প্রদায় বিশেষ শঙ্কিত হন । র্তাহীরা কেশবচন্দ্রের অগ্রগতির সহিত সমানতালে চলিতে পারিলেন না । দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত এজন্য অনেক বিষয়ে তাহার মতানৈক্য ঘটিতে লাগিল । তৎফলে কেশবচন্দ্র তাহার মতানুসারী ব্যক্তিদিগকে লইয়া ১৮৬৬ খ্রীঃ অব্দের ১১ই নবেম্বর ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ" নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের স্থচনা করেন । তৎপুর্কেই তিনি নানাস্থানে বক্তৃত। প্রদান, ইণ্ডিয়ান মিরার ( Indian Mirror ) নামক পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশ প্রভৃতি কাৰ্য্যদ্বারা জনসমাজে তাহার মত প্রচার করিতে থাকেন । এই কার্য্যে র্তাহার অসাধারণ সাহসের এবং অভূতপূৰ্ব্ব কৰ্ম্মক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায় । কেশবের ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ স্থাপনের উদ্যোগ হওয়াতে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তৃত্বাধীনে পরিচালিত প্রাচীন সমাজ আদি ব্রাহ্ম সমাজ” নাম ধারণ করে । কলিকাতাস্থ যোড়াসাকো অঞ্চলে চিৎপুর রোডে রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ভবন ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্রী র্তাহীদের উপাসনালয় ছিল । আদি ব্রাহ্মসমাজ অনেকাংশে একতন্ত্র ছিল । যোড়াসাঁকোর ঠাকুরবংশই প্রধানতঃ ঐ সমাজের কৰ্ত্তা ছিলেন ; কেশবচন্দ্র নিজ প্রতিষ্ঠিত ভারতবর্ষীয় সমাজকে যথা সম্ভব জনমতের অধীনৰূপে পরিচালনা করিবার মনস্থ করেন । সেই কারণে তিনি নুতন সমাজের সদস্তগণকে লইয়া একটি সাধারণ সভা ংগঠন করেন । তৎসঙ্গে একটি প্রচার বিভাগ ও স্থাপিত হয় । সাধারণের অর্থে এবং সকলের সমবেত অভিপ্রায়ে উহার সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে থাকে । ১৮৫৯ খ্রী: অব্দের এপ্রিল মাসে ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় । দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী প্রমুখ ব্রাহ্ম সমাজের আচাৰ্য্যগণ তথtয় সপ্তাহান্তে ইংরেজী ও বাঙ্গালীয় ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূলতত্ত্ব সম্বন্ধে বক্তৃতাদি করিতেন। কেশবচন্দ্রই প্রধানতঃ ইংরেজীতে বক্তৃতা দিতেন। কয়েকবৎসরের মধ্যে ভবানীপুরে উহার একটা শাখা প্রতিষ্ঠিত হয় । তৎকালীন শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়ের নিকট ব্ৰহ্ম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং বহুদিন ধরিয়া উহার কার্য্য সুচারুরূপে পরিচালিত হইয়াছিল । ১৮৫৯ খ্ৰীঃ অব্দেরই প্রায় শেষভাগে কেশবচন্দ্র দেবেন্দ্রনাথের সহিত জল