খান খানান র্তাহার সঙ্গে মক্কায় গিয়াছিলেন । কামরাণের মৃত্যুর পরে, তিনি দেশে ফিরিয়া আসিলে পর, সম্রাট আকবর র্তাহীকে তিন হাজারী সেনাপতি পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন । সম্রাট আকবর যখন গুজরাতের বিদ্রোহী নবাব ইব্রাহিম হোশেন মিরজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন, তখন তিনি র্তাহীর সঙ্গে গিয়াছিলেন । সারণালের যুদ্ধে তিনি উপস্থিত ছিলেন । সম্রাট র্তাহার বীরত্বে সন্তুষ্ট হইয়। তাহীকে থান আলম উপাধি প্রদান করেন । সম্রাটের অন্ততম সেনাপতি মনিম খtর সঙ্গে তিনি বঙ্গের পাঠান সর্দার দায়ুদ গার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । কিন্তু দাযুদ খার অন্যতম প্রধান সেনাপতি গুজর খার সহিত যুদ্ধে তিনি নিহত হন। তিনি একজন কবিও ছিলেন । র্তাহার ভ্রাতা মজাফর ও সৈনিক বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেন । খান খানান মিজ আবদর রহিম —সম্রাট আকবরের সমসাময়িক এক জন সন্ত্রাস্ত অমাত্য । আকবরের অন্ততম মন্ত্রী বৈরাম খ। তাহার পিতা । বৈরাম খ। নিহত হইলে, আবদর রহিম শৈশবেই অন্যান্য শুভানুধ্যায়ী সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ কর্তৃক সম্রাট সমীপে নীত হন এবং সম্রাটের তত্ত্বাবধানে বাস করিতে থাকেন । 1. যৌবনের প্রারম্ভেই তিনি সম্রাটের জীবনী-কোষ অসমাপ্ত কাজ সমাপন করেন । \Oo 8 সহিত নানা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। র্তাহার নানাগুণে মুগ্ধ হইয়া সম্রাট র্তাহাকে মীর-আর্জ উপাধি প্রদান করেন । তখন তাহার বয়স মাত্র পচিশ বৎসর। কিছুকাল পরে তিনি গুজরাতের বিদ্রোহী পাঠান সেনাপতি মজফ ফরকে দুইবার বিশেষ কৃতীত্বের সহিত পরাস্ত করেন এবং পুরস্কার স্বরূপ সম্রাট কর্তৃক খান থানান উপাধি ভূষিত হন । তদ্ভিন্ন তিনি পাচ হাজার সৈন্তের মনসবদারের পদও প্রাপ্ত হন । সম্রাট তনয় মুরাদ যখন দীক্ষিণীতে অভিযান করেন, তখন আবদর রহিম র্তাহার সাহায্যের জন্ত প্রেরিত হন । কিন্তু মুরাদের সহিত মনোমালিন্তবশতঃ, তিনি কোনও যুদ্ধে যোগদান করেন নাই। মুরাদ দীক্ষিণাত্য পরিত্যাগ করিবার পর, তিনি র্তাহার હીરે উপলক্ষে তিনি মুহিল খার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়৷ অসামান্ত শৌর্যবীৰ্য্য ও রণনৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করেন (১৫৯৭ খ্ৰীঃ অব্দে ) । আকবরের অপর পুত্র রাজপুত্র দানিয়েলের সহিতও, তিনি দক্ষিণাত্যের অপ্তান্ত অংশ বিজয়ে গমন করেন এবং বিশেষ সংগ্রামের পর অtহাম্মদনগর অধিকার করেন। তৎপরে সম্রাটের আদেশে তিনি কিছুকাল নববিজিত রাজ্যে শৃঙ্খলা স্থাপনাদি কার্য্যের জন্ত, তথtয় অবস্থান করেন। আকবরের মৃত্যুর পরও আবদর রহিম কিছুকাল
