পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 ఫి এটা কখনও খাটে নাই । অভা । তার স্বভাব নষ্ট করতে পারে নাই । পরে তিনি চাকরী ছেড়ে দিয়ে বহুবাজার কি ঐ দিকে কোথ একটি বইএর দোকান করবেন স্থির করেন । হোষ্টেলের অনেকে তাঁকে নিষেধ করে বললে— ‘আপনার মূলধন বেশী নাই, আপনি এমন কাজ করবেন ন}, দোকান চলবে না, ঠক্‌বেন ? আমি কিন্তু জোর করে বলেছিলাম ‘উনি নিশ্চই কৃতকার্য্য হবেন । ওঁর আমন IIonesty মূলধন আছে, কেবল ওতেই উনি সফলতা লাভ করবেন!’ হ’লও তো তাই গৃ এখন তার সঙ্গে একবার দেখা করতে ইচ্ছা হয় । কিন্তু দেখ চ তো ? আমার খাবার সময় নাই, যাই কখন । আপার অনেক সময় ওটা মনেও থাকেন । অনেকে বলে বাঙ্গালী ব্যবসা করিতে জানে না, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যারা ব্যবসা করতে যান, র্তাদের অধিকাংশেরই Honestyট কম । তাই ফেল মারেন ।” গুরুদাস বাবুর জীবন-চরিত সার রাসবিহারীর এই কথা কয়টাতেই সম্পূর্ণ পরিস্ফুট হইয়াছে। সত্য সত্যই গুরুদাস বাবু মহার্ঘ সম্পদের– অতুলনীয় অগাধ মূলধনেরই অধিকারী ছিলেন ; সে মূলধন, সার রাসবিহারীর কথায় তাহার Honesty ৷ এই মূলধনই র্তাহাকে সংসার সংগ্রামে জয়যুক্ত ভারতীয়-ঐতিহাসিক গুরুদাস ক রয়া অর্থ ও যশের অধিকারী করে, ছিল । এই Honesty মূলধনই তাকে সৰ্ব্বজনশ্রদ্ধেয় এবং পুস্তক ব্যবসায়ী সংঘের সভাপতি পদে বরণ করে, তার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা অর্পণ করিয়াছিল । গুরুদাস বাবু লক্ষ্মীর বরপুত্র হইয়৷ জন্মগ্রহণ করেন নাই—প্রচুর মূলধন লইয়া ও তিনি ব্যবসায় আরম্ভ করিতে পারেন নাই। কিন্তু সাধুতা ও অধ্যবসায়ই র্তাহার একমাত্র মূলধন ছিল । অক্লান্ত যত্ন ও পরিশ্রমে তিনি এই ব্যবসায় সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়া বাণী ও কমলার মুসন্মিলন করিয়া গিয়াছেন । শেষ জীবনে সুদীর্ঘ দশ বৎসর কাল তিনি দৃষ্টি শক্তিহীন হইয়াছিলেন । ৮১ বৎসর বয়সে অাদর্শ গৃহস্থালী সৰ্ব্বসমক্ষে রাখিয়া ১৩২৫ সালের ১২ই বৈশাখ বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নে তিনি পরলোক গমন করেন । মৃত্যুর দিন প্রী তঃকালে, এমন কি শেষ নিশ্বাস গ্রহণের অৰ্দ্ধঘণ্ট; পূৰ্ব্বেও কেহ বুঝিতে পারেন নাই যে, তাহার আসন্ন সময় নিকটবৰ্ত্তী—সাধু পুণ্যবান পুরুষ কথা বলি তে বলিতে সজ্ঞানে সাধনোচিত ধামে প্রস্থান করেন । গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় পাঁচালীকার—তাহীর জন্মস্থান নদীয়া জিলার অন্তর্গত ব্রাহ্মণশাসন গ্রাম । তিনি একজন বিখ্যাত পাচালীকার ছিলেন ।