পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০১ শিক্ষা দিবার জন্য স্বীয় পুত্র হুমায়ুনকে প্রেরণ করেন, তখন আবদুল জব্বর কাজী হুমায়ুনের সঙ্গে গমন করেন । আবদুল জলিল, মীর— অযোধ্যার অন্তর্গত বিল গ্রামের সৈয়দ আহাম্মদের পুত্র । তিনি বিদ্বান এবং মুকবি ছিলেন । বিজাপুরে অবস্থান কালে, তিনি সম্রাট আওরঙ্গজীপকর্তৃক গুজরাটে সংবাদ সংগ্রাহকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন ও পরে সিন্ধু দেশের অন্তর্গত ভt করে বদলী হন । র্তাহার শত্র পক্ষীয়ের তাহার বিরুদ্ধে অনুযোগ করায়, সম্রাট ফরুকশিয়ার ১৭১৪ খ্রীঃ অব্দে তাহাকে দিল্লীতে অtহবান করিয়া আনেন । কিন্তু পরে সমুদায় চক্রান্ত বুঝিতে পারিয়া, তাহাকে আর ও সন্মানিত করেন । দিল্লীতে থাকিয়া প্রতিনিধিদ্বারা কাৰ্য্য করিতে অনুমতি পান । ১৭১৪ খ্ৰীঃ অব্দে র্তাহার মৃত্যু হয়। আবদুল জলিল সৈয়দ শাহ – বীরভূম জিলার বারা গ্রামে চল্লিশজন পীরের সমাধি আছে, তন্মধ্যে যে ছবিবশ জনের নাম উল্লেখ আছে, তিনি র্তাহীদের অন্ত তম । লোহাজঙ্গ দেখ । আবদুল নবী খা — মন্দ্রিাজ প্রেসিডেন্সীর অন্তর্গত কোডপি নামক স্থানে * তিনি নবাব ছিলেন । এই পাঠান সর্দার প্রথমে স্বাধীন নরপতির ন্যায়ই চলিতেন । পরে ১৭৪৮ খ্ৰীঃ আবে নিজামের অনুগত্য স্বীকার করিতে বাধ্য হন । ভারতীয়-ঐতিহাসিক ख्ञांवळूल बबौ তৎপরে মহারাট্রাদের ও মহীশূরপতি হায়দর আলীর বগুতা স্বীকার করেন। এই প্রকারে তিন শক্তির অত্যাচারে ১৭৯২ খ্ৰীঃ অব্দে সম্পূর্ণরূপে তাহার অস্তিত্ব লোপ পায় ৷ আবদুল নবী খার তিন পুরুষ এইস্থানে নবাবী করেন । আবদুল নবী খা—তিনি সিন্ধুদেশের অন্তর্গত কোলহরা প্রদেশের শেষ নবাব। ১৭৭৭ খ্ৰী; অব্দে তাহার ভ্রাতা গোলাম নবী খুঁ, তালপুরের বিদ্রোহী সামন্ত মীর বিজয়ের সহিত যুদ্ধে নিহত হন। তিনি ভ্রাতার পরিত্যক্ত সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই, সমস্ত আত্মীয়কে নিহত করিয়া স্বীয় সিংহাসন নিস্কণ্টক করেন । তৎপরে তালপুরের মীর বিজয়কে স্বীয় মন্ত্রীপদে নিযুক্ত করিয়া র্তাহার সহিত সমস্ত বিরোধের নিম্পত্তি করেন। এই সময়ে কান্দাহারপতি সিন্ধুদেশ আক্রমণ করেন । কিন্তু ১৭৮১ খ্ৰীঃ আবেদ মীর বিজয় তাহাদিগকে সিন্ধুদেশ হইতে বিতাড়িত করেন । সেনাপতির এই প্রকার ক্ষমতায় ভীত হইয়া, আবদুল নবী খ৷ র্তাহাকে হত্যা করেন । মীর বিজয়ের পুত্র আবদুল্লা খা, সেই জন্য বিদ্রোহী হইয়। আবদুল নবী খাকে দেশ হইতে তাড়াইয়া দেন। তিনি প্রথমে খিলাতে পলায়ন করেন। অবশেষে বহু কষ্টে কান্দাহার পতির সাহায্যে আবদুল্লা খাকে পরাজিত ও নিহত করিয়৷