পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐांबळूल बदी কোলহরী অধিকার করেন । কিন্তু মৃত আবদুল্লা খাঁর আত্মীয় মীর ফতেঅালী, তাহাকে আবার দেশ হইতে চিরকালের জন্য তাড়াইয়৷ দেন । তখন তিনি যোধপুর রাজ্যে অtশ্রয় গ্রহণ করেন । তথায় তাহার বংশ ধরেরা এখনও বাস করিতেছেন । আবদুল নবী, শেখ— গঙ্গোর শেখ আবদুল কুন্দসের পৌত্র ও শেখ আহাম্মদের পুত্র । তিনি সম্রাট আকবরের শিক্ষক ছিলেন। সেইজন্ত তিনি সর্দার-উস-সর্দারের ( প্রধান বিচারপতি ) সন্মানিত পদ পাইয়াছিলেন । ইহার পূৰ্ব্বে কোন সর্দারই এই প্রকার সম্মানিত পদ লাভ করেন নাই। আকবর তাহার এতই অনুগত হইয়াছিলেন যে, সর্দার যখন বিদায় লইয়া গৃহে যাইতে উদ্যত হইতেন, তখন আকবর র্তাহার চর্টিজুতা ঠিক করিয়া দিতেন । কিন্তু পরে মৌলানা আবদুল-মুকদুম-উল-মুনাফ ও অন্তান্ত কয়েক জন রাজকৰ্ম্মচারীর ষড়যন্ত্রে তিনি আকবরের নিকট পূর্বের স্তীয় সম্মান পাইতেন না । পরিশেষে মক্কায় তাহাকে নিৰ্ব্বাসিত করা হয় । ১৫৮৩ খ্ৰী; অব্দে (চিঃ ৯১১ ) মক্কা হইতে ফিরিয়া আসিলে, তিনি নিহত হন । আবদুল বাকী— তিনি ‘ময়াসির-ইরহিমী’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা। এই গ্রন্থে আকবরের রাজদরবারের সমুদয় জীবনী-কোষ ९०९ বিখ্যাত সন্ত্রান্ত লোকের, কবি ও গ্রন্থকারের জীবনী বর্ণিত আছে। ১৬১৬ খ্ৰীঃ অব্দে এই গ্রন্থ সম্পন্ন হয় এবং ১৬৪২ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত इन | আবদুল মজিদ ভূয়া, মৌলবী হাজী--তিনি কটক জিলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১২৭১ সালে তাহার রচিত ‘রংবাহার’, ১২৯৬ সালে তাহার ‘দেলরোবটার-বমন্‌ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। আবদুল মালী – একজন বৈষ্ণব পদাবলী লেখক । খুব সম্ভব তাহার জন্মস্থান চট্রগ্রামে ছিল । আবদুল-মুক্তাদির-শরিহি, কাজী —একজন বিখ্যাত ধাৰ্ম্মিক ও বিদ্বান মৌলবী । জৌনপুরের প্রসিদ্ধ মৌলবী সিহাব উদ্দিন তাহার ছাত্র ছিলেন । জোনপুরের সুলতান তাহাকে বিশেষ সমাদর প্রদর্শনপূর্বক রাজধানীতে লইয়া যান । তিনি এক বৎসর তথায় অবস্থান করিয়া, ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন । কথিত আছে, তিনি সপ্তাহে একদিন উপদেশ প্রদান করিতেন । সেই সভায় সুলতান স্বয়ং ও রাজ্যের সন্ত্রান্ত পেরবর্গ এবং রাজঅন্তঃপুরের ও অন্তান্ত সম্রাস্ত মহিলাগণ পরদার অন্তরালে থাকিয়া, তাহার উপদেশ শ্রবণ করিতেন। বহু হিন্দু তাহার উপদেশ শ্রবণে মুসলমান ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছিলেন । তিনি জৌনপুর পরি