২২৭ অইবাকের পুত্র । ১২১০ খ্ৰীঃ অব্দে কুতবউদিনের মৃত্যু হইলে, তিনি দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন । কিন্তু এক বৎসরের মধ্যেই তিনি স্বীয় ভগিনীপতি ইলতিমাস কর্তৃক পদচ্যুত হন । ইলতিমাস সামস-উদ্দিন উপাধি গ্রহণপূর্বক দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন । আরারু – এলাহাবাদের অন্তর্গত কোরার একজন জমিদার। তিনি খিচর জাতীয় ছিলেন। দিল্লীর মুঘল সম্রাটের দুৰ্ব্বলতা অনুভব করিয়৷ ঐ প্রদেশের চাকলাদার নবাব জান নিসার খাকে নিহত করেন। তিনি উজিরের আত্মীয় ছিলেন। উজিরের পুত্ৰ আজিম উদ্দৌলা খা একদল সৈন্য সমভিব্যfহারে তাহাকে আক্রমণ করেন । কিন্তু তিনি জঙ্গলে পলায়ন করাতে বিশেষ কিছু করিতে সমর্থ না হইয়া, প্রতিনিধি স্বরূপ খারিজম বেগ খাকে তথায় রাখিয়া দিল্লীতে প্রত্যাবর্তন করেন। আরারু ইহাতে সাহসী হইয়া খারিজম বেগ থাকে নিহত করেন। উজির কুমর উদ্দিন খ, অযোধ্যার সুবেদার সাদত খার সাহায্য প্রার্থনা করিলে, সাদত খ, আরারু খাকে পরাজিত ও নিহত করিয়া, তাহার মস্তক দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ শাহের নিকট প্রেরণ করেন । ১৭৩৫ খ্ৰীঃ, (হিঃ ১১৪৮ ) । ভারতীয়-ঐতিহাসিক আৰ্যক্ষেীশ্বর নামক এক পুস্তক লিখিয়াছেন । এই পুস্তকে সত্যপীরের মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে । উহা আরবী ও ফাশী শব্দ মিশ্রিত বঙ্গভাষায় রচিত । আরিমত্ত, রাজা—র্তাহার অন্তনাম শশাঙ্ক । তিনি ব্রহ্মপুত্রবংশের সর্ব প্রধান নরপতি ছিলেন। তাছার সম্বন্ধে নানা প্রকার প্রবাদ প্রচলিত অাছে। আরীশাহ– একজন সুফী সাধক । তিনি খ্ৰীঃ সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে অথবা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জীবিত ছিলেন । তাহার গুরুর নাম বীরসাহেব এবং তিনি জন্মত হিন্দু ছিলেন। আর শাহ জাতিতে মুসলমান হইলেও র্তাহার রচনার মধ্যে আল্লার সঙ্গে রাম, হরি, আরতি, দেহতত্ত্ব, শূন্ততত্ত্ব প্রভৃতি স্থান পাইয়াছে। হিন্দু মুসলমানের কোন সংস্কীর্ণত র্তাহার মধ্যে ছিল না । তাহার গানে গুরুর চরণ রজের অঞ্জন দিবার কথা আছে । স্বষ্টি শূন্তের কাগজে র্তাহার প্রেম কলমের লেখা, যে এই রস প্রত্যক্ষ করে নাই, তাহাকে যুক্তদ্বারা বুঝান অসাধ্য। মানব ব্রহ্মসাগরেরই বুদ্ধ,দ ইত্যাদি কথা চমৎকার পদ্যে রচিত আছে । আর্য্যক্ষেমীশ্বর – তিনি একজন নাটক রচয়িতা । তাঁহার রচিত ‘চও কৌশিক’ নামক নাটকে পালবংশীয় , রাজা প্রথম মহীপালের . বিবরণ আরিফ—তিনি ‘লালমনের-কেচ্ছা! | আছে ।
