88) সভার সভ্য, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্ত এবং আইন পরিষদের (Faculty of Law) সভা নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। ১৮৭১ খ্রীঃ আন্দে মাত্ৰ বিয়াল্লিশ বৎসর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন । অনুজা –চতুৰ্ব্বিংশ জৈন তীর্থঙ্কর মতাবারের কোণ্ডিণ্য গোত্ৰীয়া স্ত্রী যশোদার গর্ভে অমুজার জন্ম হয় । তাহার আর একটী নাম প্রিয়দর্শন ছিল । অমুজার স্বামীর নাম জমালি । তাহীদের শেষ বর্তী ( যশোবতী ) নামে একটী কন্থা জন্মিয়ছিল । অনুপ গোস্বামী—তাহার অন্ত নাম বল্লভ গোস্বামী। তিনি রূপগোস্বামী ও সনাতন গোস্বামীর অমুজ । শ্রীচৈতন্য এই তিন ভ্রাতাকে, বৃন্দালনে যাইয়া শ্ৰীকৃষ্ণ মাহাত্মা প্রচার করিতে আদেশ দিয়াছিলেন । অনুপচন্দ্ৰ—এই কবির রচিত একখানি মনসার ভাসীন পাওয়। গয়াছে । অনুপচন্দ্র দত্ত—বদ্ধমান জেলার কাটোয়ার অধীন শ্ৰীখণ্ডে তাহার জন্ম স্থয় । তিনি জাতিতে উগ্রক্ষত্রিয় তাহার পিতার নাম মৃত্যুঞ্জয় দত্ত । অমুপচন্দ্ৰ বৰ্দ্ধমানের জাল রাজা প্রতাপ চাদের শস্য ছিলেন। প্রতাপচন্দ্র শেষ বয়সে ধৰ্ম্মপ্রবর্তক হইয়া শ্ৰীখণ্ডে ঘাতয়াত করিতেন । তথায় তাহার অনেক শিস্য হইয়াছিল । জীখণ্ডের বৈদ্যবংশোস্তুব দুর্গামঙ্গল দাসের অমুজ্ঞায় অনুপ ভারতীয়-ঐতিহাসিক জলুপ চন্দ্র গুরুর জীবদ্দশায় “প্রতাপচজ লীলারসপ্রসঙ্গ সঙ্গীত” নামক এক বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেন । এই গ্রন্থে তিনি প্রতাপচন্দ্ৰে ঈশ্বরত্বের আরোপ করিয়াছেন। ১৮৪৪ খ্ৰীঃ অব ইহার রচনা কাল । অনুপনারায়ণ মুন্সী—বগুড়ার মুন্সী, তরফদার ও মজুমদার জমিদার বংশের আদিপুরুষ লক্ষ্মণরামের অনুপনারায়ণ, ব্রজকিশোর, রামকিশোর ও নবকিশোর নামে চারি পুত্র ছিল । তন্মধ্যে অনুপনারায়ণ নাটোর রাজের সেরেস্তায় পারসীনবীণী করিয়া মুন্সী উপাধী প্রাপ্ত হন । সেই জন্য র্তাহীর বংশধরেরা মুন্সী জমিদার নামে খ্যাত হন । তিনি প্রসিদ্ধ ডাকাত পণ্ডিতসার সহিত লিপ্ত ছিলেন । তাছার দমুতা লব্ধ অর্থদ্বারা তিনি ধনশালী হন বলিয়। কথিত আছে ৷ পণ্ডিতসার সহিত অনুপনারায়ণের সংশ্রব প্রমাণিত হইলে তিনি ও তাহার ভ্রাত ব্রজকিশোর নয় বৎসরের জন্য নাটোর জেলে আবদ্ধ হন । র্তাহদের বংশাবলী – অমুপনারায়ণের ঔরস পুত্র শিবনারায়ণ ও দত্তক পুত্র রামজয়। শিবনায়াণের পুত্ৰ মহেশনারায়ণ ও গিরিশনারায়ণ এবং রামজয়ের পুত্র রাধারমণ, চন্দ্রকিশোর ও ভবানীকিশোর। ভবানীকিশোরের পুত্র কালিকিশোর । অনুপনারায়ণ শিরোমণি— তিনি বেদান্ত স্বত্রের একটী বৃত্তি রচনা
