পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক। দেবগণ নিঃশঙ্ক হইলেন। শিব-জ্ঞান১৯। (১৯) পশুপতি নামক রুদ্রের পত্নী স্বাহ ও পুত্র স্কন্দ । বায়ু-২৭ । ব্ৰহ্মা-২৮ । রুদ্র দেখ (২০) ব্রহ্মার অনুমতি অনুসারে স্কন্দ কালগ্ৰহদিগের অধিপতি হন। বায়ু-৮৪ । (২১) শিব যখন পৰ্ব্বতীসহ কৈলাসে নির্জনে অবস্থান করিতেছিলেন, তখন দেবগণ চিন্তিত হইয়া, বহ্নিকে সংবাদ লইবার জন্য শিবসকাশে প্রেরণ করিলেন । শিব-ভবনের সন্নিকটে যাইয়া হুতাশন, কি ভাবে তথায় গমন করিতে পরিবেন, তাহ ভাবিতেছিলেন, এমন সময়ে তিনি হংসশ্রেণীকে শিব ভবন হইতে নির্গত হইতে দেখিলেন । তাহ দেখিয়া পাবক হংস রূপ ধারণ করিয়া, সূক্ষ্মশরীরে শিবের সমীপে গমন করিয়া বলিলেন যে, দেবগণ র্তাহার সহিত সাক্ষতি করিবার জন্য দ্বারদেশে অপেক্ষা করিতেছেন। শঙ্কর তচ্ছ - বণে সত্বর উখিত হইয়া দেবগণের নিকট গমন করিয়া তাহদের আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । দেবগণ র্তাহাকে মৈথুন পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ করিলে, তিনি বলিলেন যে দেবগণের মধ্যে যদি কেহ তাহার তেজ ধারণ করিতে সমর্থ হন, তবে তিনি তাহদের উপকারার্থে, মৈথুন পরিত্যাগ করবেন। তখন ミ> R> উপস্থিত সকল দেবতার মধ্যে অগ্নি তাহা ধারণ করিতে সম্মত হইলেন। অতঃপর অগ্নি, পরিত্যক্ত শিবতেজ বহন করিয়া অন্যান্ত দেবগণ সহ প্রস্থান করিলেন । ঐ শিবতেজ ক্রমে র্তাহার অতিশয় পীড়াদায়ক হইল । তিনি উহা ধারণ করিতে ন পারিয়া, কুটিলাকে তাহ গ্রহণ করিতে বলিলেন । কুটিলা জলময়ী মূৰ্ত্তিধারণ করিয়া ঐ শিবতেজ গ্রহণ করিলেন । পঞ্চ সহস্ৰ বৎসরকাল ঐ তেজ ধারণ করিয়া থাকিলেও গর্ভপ্রস্থত হইল না দেখিয়া, কুটিলা ব্ৰহ্মার সমীপে গমন করিয়া প্রতীকীর প্রার্থনা করিলেন । ব্রহ্মা র্তাহাকে উদয়পৰ্ব্বতস্থ শরবণে তাহা নিক্ষেপ করিতে বলিলেন । কুটিলা সেই মত কাৰ্য্য করিয়া প্রস্থান করিলেন। সেই শরবণে সহস্ৰ বৎসর পরে এক রবিকরোজল সৌম্যমূৰ্ত্তি বালক উৎপন্ন হইলেন । বালক ক্ষুধাৰ্ত্ত হইয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । সেই সময়ে ছয়জন কৃত্তিকা উত্তানশায়ী, ক্ৰন্দনরত সেই বালককে দেখিয়া তাহাকে স্তন্যপনে করাইবার জন্ত ব্যাকুল হইলেন । কুমার তাহাদিগের ব্যাকুলতা দেখিয়া স্বেচ্ছায় ষড়াননে পরিণত হইয়া, কৃত্তিকাদিগের স্তন্তপান করিতে লাগিলেন । তদবধি কৃত্তিকাগণ স্নেহবশে তাহাকে পালন করিতে লাগিলেন । সেই কারণে কুমারের