পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীকী-কোষ— ভারতীয়-পৌরাণিক । J&gbvaS পুনরায় নিজমত প্রজা উৎপাদন করুন” । চিন্তিত হইলেন। পরে অনুসন্ধান করিয়া তদবধি তিনি প্রজা স্বজনে বিরত ও তিনি দেখিলেন মহাদেব আনন্দে নৃত্য উৰ্দ্ধরেত হইয়া রছিলেন। ব্ৰহ্মার করিতেছেন। তদ্ভিন্ন তিনি মহাদেবের নিষেধ বাক্যে শিব যে বলিয়াছিলেন জটার মধ্যে মহাশব্দ শুনিতে পাইলেন.। “আমি বিরত হইলাম (স্থিতোহস্মি )” তখন র্তাহার মনে হইল যে গঙ্গা হয়ত তাই তিনি স্থানু নামে প্রসিদ্ধ হইলেন । কুপিত হইয়। শস্তুর জটার মধ্যে আশ্রয় বায়ু-১০ ব্ৰহ্মা-১০ । রুদ্র-(৬) দেখ । গ্রহণ করিয়াছেন । তখন তিনি শঙ্খ(৪৫) শ্ৰীকৃষ্ণ প্রিয় রাধা শিবের অবতার ধ্বনি করিলেন । গঙ্গাদেবী সেই শঙ্খছিলেন এবং শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং শিবানীর ধ্বনি শ্রবণ করিয়া, জটামধ্য হইতে অবতার ছিলেন । শিব ও সতী পর- বহিরাগমনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। স্পর মন্ত্রণা করিয়া দ্বাপরে ঐ ভাবে কিন্তু মুদীর্ঘকাল চেষ্টা করিয়াও তিনি অবতীর্ণ হন। ঐ মহাভা-৪৯ । রাধা বহির্গত হইতে পারিলেন না। তখন দেখ। (৪৬) ভগীরথ যখন গঙ্গকে মর্ত্যে ভগীরথ নৃত্যশীল শিবকে প্রণামপূর্বক স্তব আনয়ন করিতে ছিলেন তখন গঙ্গা করিয়া, গঙ্গাকে জটাহইতে মুক্ত করিয়া প্রথমে হিমালয়ে উপস্থিত হইলেন । দিতে অনুরোধ করিতে লাগিলেন । মহেশ্বর যখন জানিতে পারিলেন যে, তখন মহেশ্বর বলিলেন—জ্যৈষ্ঠ মাসের গঙ্গ। উপস্থিত হইয়াছেন, তখন তিনি শুক্ল পক্ষে হস্তামঙ্গল যোগে গঙ্গা তাহাকে ধারণ করিবার জন্য প্রস্তুত নি:স্বত হইবেন । তৎকাল পর্য্যস্ত হইলেন এবং মৌলি বিস্তৃত করিয়া ভগীরথকে অপেক্ষা করিয়া থাকিতে অবস্থান করিতে লাগিলেন । অনন্তর হইবে । ভগীরথ অগত্য অপেক্ষা বৈশাখ মাসে পূর্ণিমা তিথিতে গঙ্গা করিয়া রহিলেন এবং যথাকালে শিব সবেগে শঙ্করের মেীলি মধ্যে প্রবেশ জটাবন্ধের দক্ষিণ দিক্‌ খুলিয়া দিলে করিলেন। মহাদেব তাহা জানিতে গঙ্গ শস্তৃশির হইতে নিঃস্থত হইয়া পারিয়া পুলকিত চিত্তে নৃত্য করিতে আবার ভগীরথের অনুগমন করিতে আরম্ভ করিলেন। মহাদেবের নৃত্য । লাগিলেন। শ্ৰীমহাভা-৬৯ । ভগীরথ দেখিয়া প্রমথগণও মহানন্দে নৃত্য দেখ। (৪৭) সমুদ্র মন্থনে অঙ্গরাদিগের করিতে লাগিল। এদিকে ভগীরথ উদ্ভব হইবার পর চন্দ্র আবিভূক্তি হন। কিছুদূর গমন করিয়া একবার কৌতুহল- সেই চন্দ্রকে দেখিয়া মহেশ্বর বলিলেন, বশত: পশ্চাৎদিকে দৃষ্টিপাত করিলেন “এই চলকে মামি গ্রহণ করিকা -1; কিন্তু গন্ধাকে আর না দেখিয়া একান্ত | আমার জটা ভূষণ দুইৰে ” *