وی اع ۹ (م জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক। করিতে আরম্ভ করিল। প্রজাসমুদ্রয়ের করিলে শিবের ব্ৰহ্মহত্যা পাপ হইবে। এই প্রকার স্বভাবের পরিবর্তনে দেবগণ মহাদেবের নিকট উপস্থিত হইয়া, সমুদয় বৃত্তান্ত নিবেদন করিলেন। তিনি দেবগণের নিকট হইতে সকল বিষয় শ্রবণ করিয়া, অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন এবং নিজ তেজপ্রভাবে মানবগণের শরীরস্থ কামক্রোধ দিকে বিনষ্ট করিয়া, পরিশেষে মহামোহকে নাশ করিলেন । মহামোহ নিপাতিত হইলে, প্রজাগণ পূৰ্ব্বের ন্যায় আবার সদ্ভাবসম্পন্ন হইয়৷ বেদ ও অন্যান্য ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচনা করিতে লাগিল। মহাভা-শাস্তি-২৯৫ । (১১) পুরাকালে শূলপাণি শস্তু হইতেই সরস্বতী নদীর উদ্ভব হইয়াছিল । স্কন্দআব-রেব-৪৪ । (১১১) শিবেব এক নাম মহাকাল । তিনি কল্পে কল্পে আপনার লীলায় চরাচর ব্রহ্মাণ্ডেব লয় করেন এবং ভিনি সেই কালেবও লয়কারক বলিয়া মহকাল বলিয়। কথিত হন। স্কন্দ-কাশী-পূ-৭ । (১১২) জালন্ধর দৈত্যের সহিত যুদ্ধকালে শঙ্কব ও তাহার অল্পচরদিগের দ্বারা যে সকল দানব নিহত হইতে লাগিলেন, দানবগুরু শুক্রাচার্য্য ত হাদিগকে মন্ত্রবলে পুনরায় জীবন দান কবিতে লাগিলেন। তাহ দেখিয়া মহাদেব শুক্রণচাৰ্য্যকে বধ করিবার জন্য শূল উষ্ঠত করিলেন। শুক্রাচার্য্য তখন ভীত হইয়া শিবকে বলিলেন যে, তাহাকে বধ । তাহা শুনিয়া এবং পূর্বে ব্রহ্ম-কপাল যে র্তাহার হস্তে লগ্ন হইয়াছিল, তাহ! মনে হওয়াতে, শিব শুক্রাচার্য্যকে বধ করিবার বাসনা সংবরণ করিলেন । কিন্তু শুক্রাচার্য্যকে কোনও প্রকারে দমন করিতে না পারিলে যে, জালন্ধর দৈত্যকে বধ করা সম্ভব হইবে না তাহ৮ অনুভব করিয়া, তিনি নিজ তৃতীয় নয়ন হইতে এক কৃত্যাকে উৎপন্ন করিলেন। সেই ভীষণাকৃতি কৃত্য র্তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইবামাত্র শিব বলিলেন, “যাবৎ আমি জালন্ধব দৈত্যকে বিনাশ ন কবি, তাবৎ তুমি শুক্রাচাৰ্য্যকে যেনিমধ্যে আবদ্ধ করিয়া রাখ । পবে জলন্ধব নিহত হইলে, তুমি উহাকে মুক্ত কবিয়া দিবে।” শঙ্কবেব আদেশে কৃত্য বেগে ধাবন কবিয়া, শুক্রাচার্য্যেক কেশ গ্রহণপূর্বক তাহাকে নিজ ভগমধ্যে অলঙ্ক কবিয়া বাথিল । তাহ। দেখিযা দৈত্যগণ ভাতহইযা পলায়ন কবিতে লাগিল । তপন জলন্ধব ক্রুদ্ধ হইয়া ভাষণ তেজেব সহিত শঙ্কবের সহিত স” গ্রস কলিতে অলিন্ত কবিলেন কিন্তু কিছুতেই শিবকে পরাজয় করিতে না পাবিযা, মায়াবলে কৃত্রিম গেীবী ও জয়া স্বজন কলিল । সেই মায়া-জয়, জলন্ধবের আদেশে শিবসকাশে গমনপুৰ্ব্বক কপট ক্রনন কবিয়া বলিতে লাগিল যে, জালন্ধর দৈত্য কর্তৃক গৌরী
