পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ-ভারতীয়—পৌরাণিক । [ ১১৬৫ (১২৩) প্রকৃতি-সন্থত হরি হইতে ব্ৰহ্মার | দেবদিগের ভাগ কল্পনা করিয়াছেন, উৎপত্তি হয়। প্রজাপতি প্রজাস্বষ্টি করিবার অভিলাষ করিয়া র্তাহার লোচনযুগল হইতে অগ্নি ও চন্দ্রের স্বষ্টি করেন। পরে ক্রমে ক্রমে সমস্ত প্রজাস্বষ্টি হইলে, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় প্রভৃতি বর্ণবিভাগ কল্পিত হইল ! মহাভা-শাস্তি-৩৪৩ । (১২৪) ব্ৰহ্মা প্রথমবার দেবদেব নারায়ণের মানস হইতে, দ্বিতীয়বার চক্ষু: হইতে, তৃতীয়বার বাক্য হইতে, চতুর্থবার শ্রবণ হইতে, পঞ্চমবার নাসিকা হইতে ষষ্ঠবার অণ্ড হইতে এবং সপ্তমবার নাভিপদ্ম হইতে উৎপন্ন হন । বেদ র্তাহার চক্ষুঃস্বরূপ । মধু ও কৈটভ নামক দানবদ্বয় ঐ বেদ অপহরণ করাতে পিতামহ ব্ৰহ্ম অন্ধপ্রায় হইয় দেবদেব নারায়ণের স্তব করেন । মহাভl-শাস্তি৩s৮, ৩৪৯ ৷ কৈটভ দেখ । ( ২৫) ব্ৰহ্মার পুত্র ভগবান মহাদেব । তিনি পাশুপত ধৰ্ম্মের প্রণেতা । মহাভ|শান্তি-৩৫১ । (১২৬) দেবরাজ ইন্দ্রের প্রশ্নের উত্তরে ব্রহ্ম। তাহাকে গোদানের ফলাফল ও গো-মহিমা কীৰ্ত্তন করেন । মহাভা-অসু-৭২ ৭৪, ৮৫ ৷ (১২৭) ব্রহ্মা স্বয়ং পিতৃবজ্ঞ অনুষ্ঠানের বিধান করিয়াছেন এবং পিতৃগণের সঙ্কিত বিশ্বদেবগণ যে একত্র অবস্থান করেন, ব্ৰহ্মা স্বয়ং তাহার ভাগ কল্পনা করিয়াছেন। ব্ৰহ্মা যে উষ্মপ পিতৃ- I মহাদেব অমুরধ্বংস ব্ৰহ্ম | শ্রান্ধে সেই পিতৃদেবদিগকে অৰ্চনা করিলে, শ্রাদ্ধকর্তার পিতৃপিতামহাদি অনায়াসে নরক হইতে মুক্তিলাভ করেন । মহাভা-অম্ল-৯১ (১২৮) পিতামহ ব্ৰহ্মা পয়স্বিনী সুরভীর সৃষ্ট্রি করিবার পর, ঐ সুরভীর বংশে অসংখ্য গাভী সমুৎপন্ন হয়। তৎকালে উহাদের সকলের বর্ণ একপ্রকার ছিল । অনন্তর একদা ঐ সুরভীর বংসের মুখ বিনিগত ফেন মহাদেবের শরীরে পতিত হয়। তাহাতে শিব ক্রুদ্ধ হইয়া গো-সমুদয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। তাহাতেই গোসমুদয় শঙ্করের ক্রোধানলে দগ্ধ হইয়া বিবিধ বর্ণ প্রাপ্ত হয় । ঐ সময়ে অর্থতত্ত্বজ্ঞ ভগবান ব্রহ্মা, তাহাকে ক্রুদ্ধ দেখিয়া সাত্বনা প্রদানপূর্বক তাহার বাহনের নিমিত্ত এক বৃষভ প্রদান করেন। তদবধি শিব অন্য বাহন পরিত্যাগ করিয়া বৃষেষ্ট আরোহণ করিয়া থাকেন । মহাভা-শাস্তি-১৪১ I (১২৯) সৰ্ব্বদেব-পূজিত বাস্বদেহের উদর হইতে ব্ৰহ্মা উৎপন্ন হইয়াছেন ; মহাভা-শাস্তি১৪৭ । (১৩০) বাসুদেবের নাভিমণ্ডল হইতে একটি পদ্ম উৎপন্ন হইয়াছিল। সেই পদ্মের একটি দলে স্বয়ং ব্ৰহ্মা জন্ম- , গ্রহণ করিয়া, গাঢ়তম অসীম অন্ধকার নিরাকৃত করিয়াছিলেন । মহাত-শাস্তি১৫৮ । (১৩১)দেবগণের প্রার্থনায় একবার করেন। . সেই