পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্মিনী [ ১৫১ ] পরশুরাম চিতার নিকট উপস্থিত হইয়া গ্রহণ করেন। ই দ্বার নাম রামসকলে একযোগে সমস্বরে আনন্দে রক্ষিত হয় । পরে প্রিয় অস্ত্র পরপ্ত গান করিতে করিতে তাহ প্রদক্ষিণ ( কুঠার ) হইতে ইহঁার নাম পরশু করিতে লাগিলেন । তঃপর মহিলাদিগের পরম ধন সতীত্ব রক্ষার্থ সকলে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে প্রবিষ্ট হইয়া ভস্মীভূত হইলেন। রাজপুত বীরগণ এবৃশ্যে উন্মত্ত হইয়া দুৰ্গদ্বার উদঘাটন পূর্বক শক্ররক্তে তাপিত প্রাণ শীতল করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। প্রাণিহীন চিতোর ১৩০৩ খৃষ্টাব্দে অধিকার করিয়া, আলাকে পদ্মিনীর ভস্মমাত্র প্রাপ্ত হইয়া সুখী হইতে হইয়াছিল । ( রাজস্থান ) পবন—দেবতাবিশেষ। ইনি উত্তর পশ্চিম দিকের অধিপতি । মরুৎগণ অর্থাৎ উনপঞ্চাশ বায়ু, ইহঁার অধীন। বলাধিক্য জন্য ইনি দেবতাদিগের মধ্যে বিখ্যাত । ইহঁার ঔরসে অঞ্জনাতনয় হনুমান এবং কুন্তীনন্দন ভীম জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁার অপরাপর প্রধান প্রধান নাম—জগৎপ্রাণ, প্রভঞ্জন, মরুৎ, মারুত । পরশুরাম—বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। কথিত আছে যে দুবৃত্ত ক্ষত্রিয়দিগকে দমন করিবার জন্য ইহঁার জন্ম হয়। ইনি মুনিবর জমদগ্নির ঔরসে এবং রেণুকার গর্ভে জন্ম রাম হইয়াছিল । সহ-পৰ্ব্বতে তপশ্চরণ করিয়া ইনি সিদ্ধ হইয়াছিলেন। একদা পরশুরামের মাতা স্নানার্থ নদীতে গমন করিয়া অপসরাদিগের জলক্রীড়া অবলোকনে বিচলিত মনে কুটীরে প্রত্যাগমন করেন। তদর্শনে জমদগ্নি তাহাকে কলুষিত জ্ঞান করিয়া পুত্রগণকে র্তাহার বধের জন্য আজ্ঞা করেন। কিন্তু অদ্যন্তি পুত্ৰগণ সে দুরূহ আজ্ঞা প্রতিপালন না করিলে, কনিষ্ঠ পরশুরাম সেই কাৰ্যসাধনে পিতা কর্তৃক আদিষ্ট হইলেন। তখন ইনি কোন বিচার না করিয়া কুঠারাঘাতে পিত্রাজ্ঞা পালন করিলেন । জমদগ্নি সন্তুষ্ট হইয়া পুত্রকে ঈপ্সিত বর লইতে আদেশ করিলে, তিনি পিতাকে পরিতুষ্ট করিয়া মাতার পুনর্জীবনের বর প্রার্থনা করেন । কথিত আছে যে মাতা পুনর্জীবিত হইলেও তাহার উপর কুঠারাঘাত জন্য পাপে, ইহার হস্ত হইতে সে কুঠার আর স্থলিত হয় না। ভারতের সমুদয় তীর্থ ভ্রমণ পূর্বক অবশেষে ব্ৰহ্মপুত্র নদে অবগাহন করাতে, ইহঁার পাপ ক্ষালন হইলে হস্ত হইতে কুঠার পতিত হয় ।