প্রবর তপোবলে সুরপুরে গমন করিলে, ইন্দ্রের সহিত ইহঁীর মিত্রতা স্থাপিত হয় । ব্রহ্মার বরে ইনি সকলের অবধ্য ছিলেন। কৃষ্ণের পারিজাত হরণ সময়ে, ইনি ইন্দ্রের পক্ষে যুদ্ধে উপস্থিত হইয়া, সাত্যকির সহিত যুদ্ধে রত হন। সাত্যকিকে পরাস্ত করিয়া গরুড়োপরিস্থিত পারিজাত গ্রহণ করিতে চেষ্টা করিলে, বিহঙ্গবর পক্ষাঘাতে ইহাকে রথসহ দূরে নিক্ষেপ করেন। এই অবস্থায় মোহপ্রাপ্ত হইলে, জয়ন্ত ইহঁাকে নিজরথে লইয়া সুস্থ করেন । ষটুপুরের দানবদিগকে নিহত করিবার জন্য, ইনি কৃষ্ণকে সাহায্য করিয়াছিলেন। (হরি) প্রভাবতী—বজনাভ অস্থরের কন্যা । ইনি সখীর নিকট প্রত্যুমের রূপ গুণ শ্রবণে র্তাহার প্রতি আসক্ত ছন। পরে প্রত্যুম্ন নটদিগের সহিত বজপুরে উপস্থিত হইলে, ইহঁার সহিত তাহার গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ হয় । ইহঁার পুত্র জম্মিলে, অমুরগণ সবিশেষ অবগত হইয়া প্রত্যুম্নকে বধ করিতে উদ্যত হয়। তখন তিনি ইহঁার মত লইয়া অসুরদিগকে বিনাশ করেন। প্রত্যুমের ঔরসজাত ইহঁার পুত্র বজ্রনাভরাজ্যে রাজা হইয়াছিলেন । (হরি) প্রমারা-র মুনির পত্নী । অঙ্গর [ سوأولاد ] প্ৰহলাদ মেনকার গর্ভে গন্ধৰ্ব্ব বিশ্বাবসুর ঔরসে ইহঁার জন্ম হয় । ইনি বাল্যে স্থলকেশ নামক একজন মুনির দ্বারা পালিত হইয়াছিলেন। বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে ইহঁার সহিত মুনিপুত্র রুরুর বিবাহের স্থিরতা হয় । একদা ইনি সখীগণ সহিত ক্রীড়া করিতে করিতে সৰ্পদংশনে মৃত্যুমুখে পতিত হন । ভাবী পত্নীর বিয়োগে রুরু শোকাকুল হইয়া বনে বনে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । অতঃপর দেবদূতের পরামর্শে তিনি ইহাকে স্বীয় আয়ুর অৰ্দ্ধেক প্রদান করিলে, ইনি পুনর্জীবিত হইলেন । তদনন্তর ইহঁাদের পরিণয় হইলে, ইহঁারা মুখে জীবন যাপন করিতে লাগিলেন । (মহা) প্ৰসূতী—সতীর মাতা। ইনি শত রূপার গর্ভে স্বায়স্তৃব মনুর ঔরসে জন্ম গ্রহণ করেন । ইহঁার সহিত দক্ষপ্রজাপতির পরিণয় হয়। র্তাহার ঔরসে ইহঁার সতী প্রভৃতি ষষ্টি ংখ্যক কস্তার জন্ম হয় । দক্ষযজ্ঞে শিবনিন্দায় যজ্ঞধবংস ও দক্ষের বিনাশ হইলে, মহাদেব তথায় উপস্থিত হন । তখন ইর্টার অনুরোধে তিনি দক্ষকে পুনর্জীবিত করেন। প্ৰহলাদ–বিখ্যাত বিষ্ণুভক্ত দৈত্য। ইনি দৈত্যরাজ , হিরণ্যকশিপুর তনয় ছিলেন। কথিত আছে যে
