অর্জন পৰ্ব্বতে আরোহণ করিলে দ্রৌপদী, সহদেব, ও নকুলের পতন হইলে ইহার মৃত্যু হয়। ইনি কৌরবসৈন্য একদিনে নাশ করিবেন বলিয়৷ যুধিষ্ঠিরের নিকট প্রতিশ্রুত হইয়া ছিলেন ; কিন্তু তাহ না করায়, এবং অন্তান্ত বীর দিগকে অবজ্ঞ। করিতেন বলিয়া যে পাপম্পর্শ হইয়াছিল সেই পাপে ইনি স্বশরীরে স্বর্গে যাইতে পারেন নাই । অৰ্জ্জুনের দশ নামের বিবরণ :– সৰ্ব্বজনপদ জিনিয়া ধন আনয়ন হেতু ধনঞ্জয় ; রণে শত্রু পরাজয় না করিয়া নিবৃত্ত হইতেন না, এই জন্য বিজয় ; রথের অশ্ব শ্বেত বলিয়া শ্বেতবাহন ; ফন্তু নী নক্ষত্রে জন্ম হয়, এই জন্ত ফাক্তন ; দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট উজ্জ্বল কিরীট প্রাপ্তি হেতু কিরীচী ; রণে বীভৎস ( বৃণিত ) কন্মান করায় বীভৎস্থ ; উভয় হস্তে ধনু আকর্ষণ,হেতু সব্যসাচী ; সতত নিৰ্ম্মল কৰ্ম্ম করায় অৰ্জ্জুন ; রণে দুদ্ধৰ্ষ শক্রও জয় করার জন্ত জিষ্ণু এবং কৃষ্ণবর্ণ বলিয়া কৃষ্ণ নামে ইনি অভিহিত হইতেন । মাতার নাম পৃথা (ও কুন্তী), তদন্থসারে ইনি পার্থ (ও কৌন্তেয় ) নামেও পরিচিত। (২)-(কাৰ্ত্তবীৰ্য্য দেখ ।) [ ১৫ ] অলম্বল অলক্ষী—লক্ষ্মীর জ্যেষ্ঠ ভগিনা। সমুদ্রমন্থন কালে ইহার উৎপত্তি হয়। দেবদানবের মধ্যে কেহই ইহাকে গ্রহণ করে না। পরে দুঃসহ নামক মুনি ইহাকে বিবাহ করেন। ইহার জালায় জালাতন হইয়। এবং মার্কও মুনির পরামর্শে দুঃসহ ইহাকে ত্যাগ করেন। কথিত আছে যে সমুদ্র হইতে উত্থিত হইয়া ইনি দেবতাদিগকে নিজ বাসস্থানের বিষয় জিজ্ঞাসা করেন। ইন্দ্রাদি দেবগণ বলিলেন--“যে স্থানে সৰ্ব্বদা কলহ, বিবাদ, অস্থি, ও চিতাভষ্ম বিদ্যমান আছে সেই স্থানে তুমি বাস করিবে। আর যে ব্যক্তি সৰ্ব্বদা মিথ্যাবাক্য ব্যবহার করে ; যে কদাচারী, পদ ধৌত না করিয়া রাত্রিকালে নিদ্রা যায়, তৃণ-অঙ্গার-অস্থি-প্রস্তর প্রভৃতির দ্বারা যে দন্ত পরিষ্কার করে ; আর যে ব্যক্তি রাত্রিতে গাজা, লাউ, বেল,ও ছাতিম প্রভৃতি আহার করে ; তুমি সেই সকল ব্যক্তিকে অবলম্বন করিয়া বাস করিবে । বিশেষতঃ যে গৃহে পতিপত্নীর সৰ্ব্বদা কলহ হয়, সেই গৃহে তুমি গাঢ় প্রবেশ করিতে পারিবে।” অলম্বল—রাক্ষস বিশেষ। এ জটা স্বরের ঔরসে জন্মগ্রহণ করে। পিতৃহন্ত পাণ্ডবদিগের প্রতি ইহার
