পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলম্বল [ ১৬ ] চিরবিদ্বেষ ছিল। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় এ সদলবলে কুরুপক্ষ অব অশ্বখ অশোক-স্বনাম বিখ্যাত ধাৰ্ম্মিক বৌদ্ধ রাজা। ইনি রাজা বিন্দুসারের লম্বন করে। চতুর্দশ দিবসের রাত্রি যুদ্ধে ঘটোৎকচ কর্তৃক এ রাক্ষস নিধন প্রাপ্ত হয় । অলম্বুষা—অন্সর বিশেষ। কণ্ঠপের স্ত্রী প্রধার গর্ভে ইহার জন্ম হয়। তৃণবিন্দু রাজার সহিত ইহার বিবাহ হইয়াছিল। বিশালরাজা ইহার পুত্র। অলৰ্ক—(১) চন্দ্রবংশীয় প্ৰবৰ্দ্দন রাজার তনয়। ইহার মাতা মদালসা অতি ধৰ্ম্মপরায়ণা ও তত্ত্বদশিনী নারী ছিলেন । তিনি ইহাকে ব্ৰহ্মবিদ্যা শিক্ষা দেন। অলক দীর্ঘকাল নিৰ্ব্বিবাদে রাজ্য শাসন করেন । কথিত আছে যে ইনি রাক্ষসহস্ত হইতে কাশীরাজ্য স্বীয় অধানে আনয়ন করিয়া মনুষ্যের বাসোপযোগী করেন । যোগাভ্যাস দ্বারা এই মহাত্মা রিপু সকল জয় করিয়া অবশেষে যোগবলে দেহত্যাগ করেন । ( ২ )—দংশ নামে রাক্ষস ভূগুর শাপে অষ্টপদ, তীক্ষ্ণদন্ত, স্ব’চবৎ গাত্রলোম বিশিষ্ট হইয়া অলৰ্ক নামে খ্যাত হয়। পরে কর্ণের উরুদেশ ভেদ করিয়া পরশুরামের নয়ন গোচর হইলে, অলৰ্করূপী দং - শাপমুক্ত হয়। পুত্র ও চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র। ইনি পাটালিপুত্রের সিংহাসনে ২৬৩ পূৰ্ব্ব খৃষ্টাব্দ হইতে ২৩৩ পূর্ব খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। ইনি প্রথমে হিন্দু ছিলেন, পরে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী হন । ইহার রাজ্য ভারতবর্ষের উত্তর খণ্ডের সর্বত্র বিস্তৃত ছিল । ইহার ন্যায় প্রবল অথচ দয়ালু নিষ্ঠাবান ভূপতি সে সময় আর ছিল না। ধৰ্ম্ম বিস্তারের জন্ত ইনি যেরূপ যত্ন করিয়াছিলেন, এরূপ আর কোন দেশের কোন রাজ। কখন করেন নাই। ইহার আশ্রিত ও প্রতিপালিত সহস্ৰ সহস্ৰ বৌদ্ধ যাজক দেশ বিদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করিতেন। প্রস্তরস্তম্ভে, পৰ্ব্বতের গাত্রে ইনি ধৰ্ম্মাজা খোদিত করিয়া রাজ্যের সর্বত্র রাখিয়াছিলেন। ইহার যত্নে দ্বিতীয় বৌদ্ধসভা আহূত হয়। রাজ্যে সৰ্ব্বত্র রাস্তার ধারে কূপ ও পান্থশালা স্থাপিত হয়। পশ্বাদির খাদ্য ও জলের সুব্যবস্থাও সৰ্ব্বত্র ছিল। অশোক রাজ্যে এত বৌদ্ধ মন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন, যে ইহার রাজ্যের নাম বিহার (মট) হয়। অশ্বথ—অশ্বখবৃক্ষ । ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে উত্ত্ব আছে যে জলন্ধর