পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাদেব ইহার কটিবন্ধ ও উত্তরীয়, ভস্ম ইহঁার বিভূতি, এবং নদী ইছার পাশ্বদ । ঈশ্বরের সংহার শক্তির স্বরূপ বলিয়া মহাদেব সমুদায় অস্ত্রশস্ত্রজ্ঞ । ত্ৰিশূল ইহঁর প্রধান আয়ুধ । ইহঁর ধনুকের নাম পিনাক । ধনুকের দ্যায় ইহার আকার এবং দুই সীমা তন্তু দ্বারা অবনত ভাবে আবদ্ধ । যুদ্ধে শর নিক্ষেপে এবং অন্ত সময় বাদন কার্য্যে ইহা ব্যবহৃত হষ্টত । মহাদেবের পাশুপত অস্ত্র বিখ্যাত । যদ্ধে ইনি অজেয় । ত্রিপুরাসুরের উপদ্রব হইতে ত্রিসংসার রক্ষা করিবার জন্য, ইনি তাহাকে বিনাশ করেন। বিষ্ণুর সাহায্যে ইনি জলন্ধ রকে নিহত করেন। কিন্তু বাণাসুরের সাহায্যে ইনি শোণিতপুরে উপস্থিত হইয়া যুদ্ধে কৃষ্ণের হস্তে পরাস্ত হইয়াছিলেন। দেবদৈত্যগণের দ্বারা সমুদ্র মন্থন হইলে, মহাদেব সৰ্ব্বশেষে উপস্থিত হইয়া পুনরায় সমুদ্র মন্থন করিতে আদেশ করিলেন। তদনন্তর কালকুট বিষ উত্থিত হইলে, ইনি তাহ গলাধঃকরণ করিলেন। তপস্যাদ্বারা তুষ্ট হইয়া ইনি ঈপ্সিত বর অর্পণ করেন। ইর্টার বর প্রভাবে বুত্র, বাণ প্রভৃতি দৈত্যগণ দৃপ্ত হইয়া পরে নিহত হয়। পরশুরাম ইষ্ঠার নিকট অস্ত্রশস্ত্রে শিক্ষিত হইয়া স্বীয় প্রতিজ্ঞ পালন করিতে সমর্থ হই [ ২১৯ ] মহাদেব য়াছিলেন । বিশ্বামিত্ৰও ইহার নিকট অস্ত্র প্রাপ্ত হন। অর্জুনের তপস্যায় সন্তুষ্ট হইয়া ইনি তাহাকে কিরাতরূপে দর্শন দিয়া ছলে র্তাহার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন । তদনন্তর পরিতুষ্ট হইয়া ইনি তাহাকে পাণ্ডপত অস্ত্র প্রদান করেন । মহাদেব দক্ষরাজ তনয়া সতীকে বিবাহ করেন। ভৃগুর যজ্ঞে ইনি শ্বশুরকে সম্মান প্রদর্শন না করিলে, তিনি এক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া ইহঁাকে নিমন্ত্রণ করেন না । সতী পিতার যজ্ঞ দর্শন করিতে গমন করিলে, দক্ষ ইহঁার অশেষ নিন্দ করেন। তচ্ছবণে সুতী দেহত্যাগ করিলেন। ইনি ক্রোধে স্বীয় জটা ছিন্ন করিলে তাহা হইতে বীরভদ্রের উৎপত্তি হয়।.ইনি দক্ষালয়ে গমন করিলে, প্রস্বতীর অনুরোধে দক্ষকে পুনর্জীবিত করেন। অতঃপর সতীর দেহ স্কন্ধে লইয়া ইনি উন্মত্তভাবে ভ্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। বিষ্ণু চক্রে সেই মৃতদেহ কৰ্ত্তন করিলে, ইনি যোগমগ্ন হইলেন। সতী হিমালয়ের গৃহে জন্ম গ্রহণ পূর্বক পাৰ্ব্বতী নামে খ্যাত হইলেন। তারকাসুরের উপদ্রব হইতে রক্ষাপাইবার জন্ত দেবগণ মহাদেবের সহিত পাৰ্ব্বতীর বিবাহ দিত্তে উৎসুক হইলেন। ইহঁার যোগভঙ্গ করিবার জন্ত কন্দৰ্প প্রেরিত