পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপিল সগরবংশ উদ্ধারের বিষয় মুনিবর অংশুমানকে বলিয়া দেন। (রামা) কপিলা—দক্ষরাজকন্যা এবং কস্তা পের স্ত্রী। ক্তম, রম্ভা, মনোরমা, প্রভৃতি কন্তা, এবং অতিবাহু, হাহা, হুহু প্রভৃতি গন্ধৰ্ব্বগণ ইহঁার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন । গো গন্ধৰ্ব্ব প্রভৃতি নানাবিধ অপত্য কপিলা হইতে উৎপন্ন হয় । (মহা--"আদি-৩২অ) কবন্ধ—মস্তকবিহীন রাক্ষস বিশেষ । কবন্ধ পূৰ্ব্বে দৈত্য ছিল ; কিন্তু রাক্ষসরূপে মুনিঋষিদিগকে নিৰ্য্যাতন করিত। একদা স্থলশিরা নামে মুনির ফলমূল বলপূৰ্ব্বক লইয়া তাহাকে নিষ্পীড়ন করে। মুনিবর শাপদ্বারা দৈত্যকে রাক্ষসরূপে পরিণত করেন । অতঃপর রাক্ষস কঠোর তপস্যা দ্বারা ব্ৰহ্মাকে সন্তুষ্ট করিয়া দীর্ঘায়ু হইবার বর প্রাপ্ত হয়। ব্রহ্মবরে দৃপ্ত রাক্ষস দেবরাজ ইন্দ্রের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া তাহার দ্বারা মস্তক ও জঙ্ঘাবিহীন হয়। পরে দেবরাজের দয়ায় ইহার যোজন-আয়ত বাহুদ্বয় এবং কুক্ষিমধ্যে দণ্ডযুক্ত মুখ হয়। রাক্ষস এই অবস্থায় দণ্ডকারণ্যে পতিত থাকিয়া হস্ত প্রসারণে জীবজন্তু ধরিয়া ভক্ষণ [ ৩৭ ] মিশ্রকোটী, তিলে কবীর করিতে লাগিল। বহুকাল পরে রামলক্ষ্মণ ইহার নিকট উপস্থিত হইলে, এ তাহাদিগকে হস্তদ্বারা আবদ্ধ করে। তখন র্তাহারা ইহার বাহুদ্বয় ছেদন করিলে, রাক্ষস নিধন প্রাপ্ত হইয়া শাপমুক্ত হয় । কবন্ধ দিব্য দেহ ধারণ করিয়া রামকে কপিবর সুগ্ৰীবের সহিত সখ্যতা স্থাপনপূর্বক সীতার অন্বেষণ ও উদ্ধার করিতে পরামর্শ প্রদান করে। (রামা) কবীর—বিখ্যাত ধৰ্ম্মবীর। ইনি বিষ্ণু-উপাসক ছিলেন এবং ১৩৮০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৪২০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ধৰ্ম্মপ্রচার করেন। হিন্দু মুসল মান উভয় ধৰ্ম্মাবলম্বীকে কবীর উপদেশ দিতেন এবং এক ধৰ্ম্মসূত্রে গ্রথিত করিতে প্রয়াস পান । ইনি বলিতেন যে বিষ্ণু ও আল্লা একই, ভাষা ভেদে বিভিন্ন শব্দ মাত্র। কবীরের দোহাবলী অতি উৎকৃষ্ট নীতি বিষয়ক উপদেশ। ইহার মতে মানব মায়ামুক্ত না হইলে মুক্তিলাভ করিতে পারে না । ঈশ্বরদত্ত জীবন তাহার কার্য্যেই নিয়োগ করা উচিত। সত্য, দয়া, ও গুরুসেবা দ্বারা লোকে ধৰ্ম্মমার্গে অগ্রসর হইতে পারে। কবীরের জন্ম ও মৃত্যু সম্বন্ধে কিংবদন্তী আছে যে একজন