পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জনমেজয় অনুষ্ঠান করিলেন। যজ্ঞাগ্নি প্রজলিত হইলে, শত শত সৰ্প যজ্ঞকুণ্ডে পতিত হইয়া নাশ প্রাপ্ত হইতে লাগিল। তক্ষক ভয়ে ইন্দ্রের শরণাপন্ন হইলেন এবং তাহার উত্তরীয় মধ্যে লুক্কায়িত রহিলেন । তখন ব্রাহ্মণগণ আশ্রয় সহ তক্ষকের নাম উল্লেখ করিয়া আহুতি প্রদান করিলেন। ইন্দ্র ভয়ে সপকে ত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিলেন। তক্ষক হতজ্ঞান হইয়া যজ্ঞকুণ্ডে পতিত হইতে ছিলেন, ইতিমধ্যে বাসুকি প্রেরিত আস্তিকমুনি তথায় উপস্থিত হইয়ারাজাকে সন্তুষ্ট করিয়া সপর্যজ্ঞ বন্ধ করিলেন। তখন তক্ষক নিস্কৃতি পাইলেন। অতঃপর জনমেজয় অশ্বমেধ যজ্ঞ করিয়া ছিলেন । ইনি ব্রাহ্মণদিগের নিকট বেদগান শুনিতেন। বৈশম্পায়নের নিকট জনমেজয় মহাভারত শ্রবণ করেন। (মহ) জমদগ্নি — মুনিবিশেষ। ইনি ঋচীক ঋষির ঔরসে এবং সত্যবতীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন। মুনিবর , বেদজ্ঞ হইয়াও অস্ত্র শিক্ষা করিয়া তাহাতে পারদর্শী হইয়াছিলেন। ইনি রাজপুত্রী রেণুকার পাণিগ্রহণ করেন । র্তা গর্ভে ইহার পঞ্চপুত্র হয় ; j কনিষ্ঠের নাম পয়গুরাম । কথিত আছে, যে [’ ના ] জমদগ্নি ইনি একদা শরক্রীড়া করিতেছিলেন এবং রেণুকা, নিক্ষিপ্ত শর সকল আনয়নে নিযুক্ত ছিলেন। প্রখর স্বৰ্য্যের উত্তাপে রেণুক কাতর হইলে, মুনিবর স্বৰ্য্যকে তাপ সম্বরণ করিতে বলেন । জগতের অনিষ্টাশঙ্কায় স্থৰ্য্য তেজ সম্বরণ না করিয়া স্ত্রীর জন্ত মুনিবরকে ছত্র ও পাদুকা প্রদান করেন । একদা রেণুকা স্নানার্থ নদীতে গমন করিয়া গন্ধৰ্ব্বদিগের ক্রিয়া দর্শনে কলুষিত মনে আশ্রমে প্রত্যাগমন করেন। মুনিবর সমুদায় জানিতে পারিয়া স্ত্রীর বর্ধার্থ জ্যেষ্ঠ পুত্রকে আজ্ঞা করেন। মাতৃবধ ভয়ে তিনি আজ্ঞাপালনে অসম্মত হইয় পিতৃশাপে জড়তা প্রাপ্ত হইলেন। তাহার কনিষ্ঠ তিন ভ্রাতার দশাও সেইরূপ হইল। পরশুরাম বন হইতে আশ্রমে উপস্থিত হইলে, জমদগ্নি তাহাকে কলুষিত জননীকে বধ করিতে আদেশ করেন । রাম কুঠারাঘাতে মাতার শিরচ্ছেদ করিলেন। তখন জমদগ্নি সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে বর দিতে প্রস্তুত হইলে, তিনি মাতার পুনর্জীবন প্রার্থনা করিলেন। জমদগ্নির কৃপায় রেণুকা পুনর্জীবিত হইলেন এবং পুত্রগণও জড়ত্ব বিহীন হইল। একদা রাজা কার্তরীর্য্য আশ্রমে উপস্থিত হইলে, জমদগ্নি কামধেনু